|
|
|
|
ইস্তফায় আগ্রহী এসএফআই নেতার চিঠি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছাত্র সংগঠনের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে এ বার সিপিএমের জোনাল সম্পাদককে চিঠি দিলেন এসএফআই-এর ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক সৌমেন মাহাতো। ছাত্র সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এফএফআইয়ের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার মন্তব্য, “এটা সাংগঠনিক ব্যাপার।”
ছাত্র ফ্রন্টে কাজ করতে সৌমেন অনিচ্ছুক কেন?
দলীয় সূত্র জানাচ্ছে, ক’মাস আগে থেকেই এসএফআইয়ের ‘ক্ষমতাসীন’ গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর ‘বিরোধ’ দেখা দেয়। সংগঠনের অন্দরে একাংশ নেতার কিছু পদক্ষেপ নিয়ে তিনি সমালোচনা করেন। সম্প্রতি, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয় নিয়েও এসএফআই-এর ‘ক্ষমতাসীন’ গোষ্ঠীর সঙ্গে সৌমেনের ‘মতানৈক্য’ হয়। একবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের হাতে তিনি প্রহৃত হন। পরবর্তী সময় তাঁর নামে টিএমসিপি অভিযোগও করে। মামলা শুরু হয়। এই সব ক্ষেত্রে জেলা নেতৃত্ব তাঁর পাশে দাঁড়াননি বলেই অনুযোগ। নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখতে না-পেরেই কী এই পদক্ষেপ? জবাব এড়িয়ে সৌমেনের বক্তব্য, ‘‘সাংগঠনিক ব্যাপারে যা জানানোর নেতৃত্বকে জানিয়েছি। আমি এ নিয়ে কিছু বলব না।” শুক্রবার মেদিনীপুরে এসএফআইয়ের জেলা কমিটির এক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে হাজির ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাস। দলীয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে চিঠির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। জেলা কমিটির সদস্যদের পুরো বিষয়টি জানানো হয়। তবে ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল সম্পাদকের পদে সৌমেনই থাকবেন, না কি তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।” বৈঠকে সৌমেন গরহাজির ছিলেন। ছাত্র নেতার চিঠির প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ সরকারও। যদিও প্রদীপবাবুর ঘনিষ্ঠ এক নেতার স্বীকারোক্তি, “সৌমেন আর ছাত্র ফ্রন্টে কাজ করতে ইচ্ছুক নন। বিষয়টি তিনি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। এই নিয়ে আলোচনাও চলছে।” |
|
|
|
|
|