২০টিরও বেশি স্কুলের পরিকাঠামোয় এক কোটি
০টিরও বেশি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। দ্বাদশ অর্থ কমিশন থেকে জেলা পরিষদ যে অর্থ পেয়েছিল, তার মধ্যে থেকেই স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। স্কুলগুলোর মধ্যে যেমন হাইস্কুল রয়েছে, তেমনই প্রাথমিক স্কুলও রয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ চেয়ে বেশ কয়েকটি স্কুল আবেদন করেছিল। সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের খসড়া পরিকল্পনাও জমা দিয়েছিলেন। সব দিক খতিয়ে দেখেই ২০টিরও বেশি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “বরাদ্দ অর্থে দ্রুত যাতে কাজ শুরু করা হয়, সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সেই আবেদনও রাখা হয়েছে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধে হবে।”
যে সব স্কুলের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তার মধ্যে মেদিনীপুর (সদর) পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায় ১টি, ডেবরার ৩টি, পিংলার ৫টি, ঘাটালের ৩টি, সবংয়ের ১টি, সাঁকরাইলের ৩টি, দাসপুর ২-এর ২টি, মোহনপুরের ২টি, খড়্গপুর ২-এর ১টি স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে আবার ১২টি স্কুলের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে, ৪টি স্কুলের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে, ১টি স্কুলের জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জেলা পরিষদের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের খসড়া পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, প্রকল্পের জন্য কত টাকা প্রয়োজন। সেই মতোই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।” স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি দ্বাদশ কমিশনের বরাদ্দ থেকে দাসপুর ১-এর সবুজ সঙ্ঘ সাংস্কৃতিক মুক্ত মঞ্চের জন্যও ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সঙ্গে সাঁকরাইলের ধানঘোরি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সংস্কার এবং সম্প্রসারণের জন্য ১০ লক্ষ টাকা, মোহনপুরের ১টি কালভার্ট নতুন করে তৈরি করার জন্য ৬ লক্ষ টাকা, পিংলার ২টি কালভার্ট নতুন করে তৈরি করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ক্ষমতায় এলে জঙ্গলমহল এলাকায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে সেই প্রতিশ্রুতি পালনে পদক্ষেপও করেন। তৈরি করেন স্পেশাল প্যাকেজ। সেই মতো নতুন ছাত্রী আবাস তৈরি, ছাত্রাবাস সহ জঙ্গলমহল এলাকায় নতুন স্কুল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ চেয়ে বিভিন্ন স্কুলই জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সাংসদ-বিধায়কদের কাছে অর্থ চেয়ে দরবার করে। আবেদন করে জেলা পরিষদের কাছেও। কেউ পুরনো ভবন সংস্কারের জন্য অর্থ চায়, কেউ বা নতুন করে শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য অর্থ চায়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, “যে সব স্কুল আবেদন করেছিল, তার মধ্যে কয়েকটি স্কুলকে এ বার অর্থ দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদে আলোচনা প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। আশা করব, বরাদ্দ অর্থে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোয় দ্রুত পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.