থাকবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও
১৪টি গ্রন্থাগারে কম্পিউটার দেওয়ার সিদ্ধান্ত
মরি-কাণ্ডের পর রাজ্য জুড়ে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলি যাতে অগ্নি বিধি মেনে চলে সে জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও এখনও সেই কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। এবার গ্রন্থাগারগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল সরকার। যে সমস্ত গ্রন্থাগারে ২৫ হাজারের বেশি বই রয়েছে সে রকম গ্রন্থাগারগুলি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। তার জন্য রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলা গ্রন্থাগারিক আধিকারিককে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ পান বলেন, “আমরা দ্রুত এই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেব। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
অন্য দিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৪টি গ্রামীণ গ্রন্থাগারে এ বার কম্পিউটার ব্যবস্থা চালু করার জন্যও অনুমোদন মিলেছে। যে গ্রন্থাগারগুলিতে দু’টি কম্পিউটার, ১টি প্রিন্টার, ১টি টেলিভিশন ও ১ টি ডিভিডি দেওয়া হবে। কোথায় কী ভাবে তা রাখা হবে, ওই গ্রন্থাগারে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে কি না, না থাকলে তা নেওয়া, থাকলে যেখানে কম্পিউটার, প্রিন্টার, টেলিভিশন বসানো হবে তার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করতে বলা হয়েছে। এমনকী কম্পিউটার চালানোর জন্য কলকাতায় দু’দিনের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। যাতে গ্রন্থাগারের যাবতীয় তথ্য কম্পিউটারে এক নজরে মেলে সেই জন্যই এই উদ্যোগ বলে জেলা গ্রন্থাগারিক জানিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১টি জেলা গ্রন্থাগার, ১৫টি শহর গ্রন্থাগার ও ১৪২টি গ্রামীণ গ্রন্থাগার রয়েছে। তার মধ্যে আগেই জেলা গ্রন্থাগার ও ৭টি শহর গ্রন্থাগার কম্পিউটার ব্যবস্থা চালুর অনুমোদন পেয়েছিল। সেই কাজ চলছে। তৃতীয় ধাপে এ বার ১৪টি গ্রামীণ গ্রন্থাগারে কম্পিউটার বসানোর অনুমোদন পেল জেলা। পরবর্তীকালে যাতে আরও বেশি গ্রন্থাগার এই সুযোগ পায় সে জন্য চেষ্টা করা হবে বলে জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক জানিয়েছেন। গ্রন্থাগার দফতর জানিয়েছে, গ্রন্থাগারে কম্পিউটার থাকলে অনের সুবিধে। সহজেই কোন বই কোথায় রয়েছে, কোন বইটি কার লেখা তা পাওয়া যাবে। বর্তমানের হাতে তৈরি ক্যাটালগ পদ্ধতিতে কিছুটা সমস্যা থেকেই যায়।
অন্য দিকে হাসপাতালের মতোই গ্রন্থাগার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যেখানে প্রতিদিন বহু মানুষ বই ও পত্র পত্রিকা পড়তে আসেন। অনেক দামি বই ছাড়াও বহু দুস্প্রাপ্য নথিও থাকে গ্রন্থাগারে। গ্রন্থাগারের বেশিরভাগ আসবাবপত্রও কাঠের তৈরি। যদিও বর্তমানে লোহা বা স্টিলের সরঞ্জামও রয়েছে। ফলে গ্রন্থাগারে দাহ্যবস্তুর অভাব নেই। কোনও সময় সামান্য আগুন লাগলেই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে তা নিয়ে সন্দেহের কোনও কারনই নেই। তাই এবার গ্রন্থাগারেও অগ্নিনির্বাপণ গড়ে তুলতে চাইছে সরকার। গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জন্য প্রতিটি জেলা গ্রন্থাগারকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যে সমস্ত শহর লাইব্রেরি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আবেদন জানাবে তাঁদের ২০ হাজার টাকা ও গ্রামীণ গ্রন্থাগারকে এ জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার। যাতে এই খাতেও জেলার গ্রন্থাগারগুলি অর্থ পায় ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয় সে জন্যও তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে গ্রন্থাগার দফতর। জেলা গ্রন্থাগারিক জানান, “গ্রন্থাগারগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রতিটি গ্রন্থাগারের সমস্ত নথি সংগ্রহ করে তা এই সব খাতে অর্থ পেতে আবেদন জানানো হবে। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই যাতে আবেদন জানানো যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.