নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নির্বাসনের শাস্তি মোহনবাগানের ওপর থেকে তুলে নেওয়ার দাবিতে সরব গোটা বাংলাই। বাগানের শাস্তি মকুবের দাবিতে এ দিন শহরের ১৬টি জায়গা থেকে সই সংগ্রহ চলেছে জোরকদমেই। রং ভুলে বেহালা থেকে বেলেঘাটা প্রতিবাদে সামিল হন ফুটবলপ্রেমীরাও।
মোহনবাগানের নির্বাসন তুলে নেওয়ার দাবিতে বেহালার প্রাক্তনী ক্লাবের উদ্যোগে যে মিছিলটি বেরিয়েছিল, সেই মিছিলে সামিল হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরাও। |
অভিনব সম্প্রীতি। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের এ রকম শাস্তি মানতে পারছেন না তাঁরাও। সবুজ-মেরুনের কিছু সমর্থক যেমন ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন। আবার কিছু সমর্থকের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ৯ ডিসেম্বরের ডার্বি ম্যাচ না খেলার বিষয়ে ক্লাব-কর্তাদের সিদ্ধান্তে। প্রতিবাদের ভাষা যাই হোক না কেন, সবার মুখ্য উদ্দেশ্য একটাই-- মোহনবাগানের ওপর থেকে নির্বাসনের শাস্তি তুলে নেওয়া হোক।
আজ সোমবারাই দিল্লি যাচ্ছেন টুটু বসু, অঞ্জন মিত্র, সৃঞ্জয় বসু, দেবাশিস দত্ত। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন সাড়ে চার হাজার সদস্যের সই করা চিঠি। যে চিঠির মুখ্য বক্তব্য সেই একই। সব দিক বিবেচনা করে মোহনবাগানের ওপর থেকে যেন শাস্তি তুলে নেয় ফেডারেশন। |
মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে এই আবেগটাই তো দরকার। ফেডারেশনের তো এই দিকটাও দেখা উচিত।” সোমবার সকালের উড়ানেই দিল্লি যাচ্ছেন বাগানের দুই প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য ও বিদেশ বসু। এআইএফএফ সচিব কুশল দাসের সঙ্গে দেখা করে বাগানের শাস্তি মকুবের আর্জি জানাবেন তাঁরাও। তাঁদের সঙ্গেও থাকবে ফুটবল প্রেমীদের সই করা আবেদন। |