গতবারের অস্ট্রেলীয় ওপেনে যেমন জকোভিচ সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল অনায়াসে, এ বারও কি তেমন আধিপত্য বিস্তার করে খেতাব বজায় রাখতে পারবে? হ্যাঁ, এটা ঠিকই যে, এ বারও জকোভিচকে হারিয়ে অন্য কারও খেতাব জেতা মোটেই সোজা নয়, তবে এই এক বছরে অ্যান্ডি মারে যতটা উন্নতি করেছে, তাতে দু’জনের দূরত্ব বেশ কমে এসেছে বলেই মনে হয়। ফলে ওদের দু’জনের মধ্যে খুব ভাল লড়াই-ই দেখা যাবে।
নাদালের না থাকাটা অবশ্য এ বারের অস্ট্রেলীয় ওপেনে সবচেয়ে হতাশাজনক ঘটনা। আসলে নাদাল এতটাই পরিশ্রম করে কোর্টে যে, ওর পা দু’টোর উপর খুব চাপ পড়ে যায়। বহু দিন হয়ে গেল টেনিসের বাইরে রয়েছে ও। যত বেশি সময় কোর্টের বাইরে থাকবে, তত ফিরতেও দেরি হবে। টেনিসের ওকে খুব দরকার। কারণ, নাদালকে ছাড়া সার্কিটের কোনও টুর্নামেন্টই পূর্ণতা পায় না।
আগামী দু’সপ্তাহে মেলবোর্ন পার্কে মারে বনাম জকোভিচ লড়াই দেখতেই মুখিয়ে থাকবেন সবাই। মেলবোর্ন অ্যান্ডির কাছে বরাবরই প্রিয়। কারণ, হার্ডকোর্ট ওর ফেভারিট। গত বছর ইউএস ওপেনে ব্রিটিশদের গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়ের খরা কাটিয়ে সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে ও। এ বার আর ব্রিটিশদের খেতাব জয়ের খরা কাটানোর তাগিদ নিয়ে কোর্টে নামতে হবে না অ্যান্ডিকে। তাই বেশ চাপমুক্ত ও। প্রস্তুতি টুর্নামেন্টগুলোতেও বেশ ভালই খেলেছে। তাই অ্যান্ডিকে এ বার খেতাবের দাবিদার বলাই যায়।
জকোভিচ তো তিন-তিনবার এখানে চ্যাম্পিয়ন। অ্যান্ডির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থেকে নামবে ও। ওর গ্যাংনামের ছবি দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে কতটা আত্মবিশ্বাসী এবং চাঙ্গা ও। নিউইয়র্কে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সত্ত্বেও ফাইনালে হেরে যায়। এ বার তার বদলা নেওয়ার জন্যই নামবে। ২০১২-য় মাত্র একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পেরেছে। ২০১৩ নিশ্চয়ই ভাল কাটাতে চাইবে নোভাক।
যদিও ফেডেরারকে একত্রিশ বছর বয়সেও কম গুরুত্ব দেওয়ার ভুল করবেন না। ও ফিট এবং ফর্মে। গত এক বছর ধরে স্পটলাইটে সে ভাবে নেই বলে ভাল খেলেছেও। এমন অবস্থায় ওকেই বা দূরে সরিয়ে রাখবেন কী ভাবে? সঙ্গা, দেল পোত্রো ও কানাডার তরুণ মিলোস রাওনিকের উপরও নজর রাখতে হবে। মেলবোর্নে অঘটন তো আর নতুন কিছু নয়। |