ইস্টবেঙ্গল-২ (চিডি, লালরিনডিকা)
মুম্বই এফসি-০ |
ব্রাত্যজনের আলোয় ফেরা!
খালিদ জামিলের দলের বিরুদ্ধে মেহতাবদের দু’গোলে জয়ের নায়ক যে দুই ব্রাত্যজনই। যাদের প্রতিভার কমতি নেই। কিন্তু প্রথম একাদশে নিয়মিত নন।
প্রথম জন মরসুমের প্রথম ম্যাচেই ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। কিন্তু মর্গ্যানের তারকাখচিত ফেড কাপজয়ী দলে ঠাঁই হয়নি মিডফিল্ডার কেভিন লোবোর। নিয়মিত নন আই লিগের দলেও। রবিবার নিজের পুরনো দল মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধে ফের প্রথম দলে সুযোগ পেতেই ইয়াকুবুদের রক্ষণে ‘ত্রাহি ত্রাহি’ রব ফেলে দিলেন লাল-হলুদের এই গোয়ান গেম মেকার। মাঝমাঠে মেহতাব-পেনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিডি-রবিনদের ‘এক সে বড় কর এক’ বল বাড়িয়ে গেলেন তিনি।
দ্বিতীয় জন লালরিনডিকা। ম্যাচের ৫২ মিনিটে মুম্বইয়ের এফসি বক্সের কিছুটা আগে লোবোর থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের ট্রিগার টেপা দূরপাল্লার শটে ইস্টবেঙ্গলের যে দ্বিতীয় গোলটি তিনি করলেন তা দেখে বিপক্ষের ইয়াকুবুর প্রতিক্রিয়া, “মুগ্ধ হয়ে দেখলাম।” আর গোলদাতা মিডফিল্ডার বলছিলেন, “অনুশীলনের ফল। গোলটা ভাইকে উৎসর্গ করলাম।” |
দুই গোলদাতা লালরিনডিকা ও চিডি। রবিবার কল্যাণীতে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
দিল্লিতে ওএনজিসি-র বিপক্ষে পাঁচ গোলে জেতা ম্যাচ এক গোলে হেরে ফিরেছিল মর্গ্যানের দল। মুম্বইয়ের দলটির বিরুদ্ধে তাই তিন পয়েন্টের খোঁজে ম্যাচের শুরু ঝড় তোলা শুরু থেকেই লাল-হলুদ মাঝমাঠের। সাত মিনিটে বাঁ পায়ে মেহতাবের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে সুভাষ চক্রবর্তী, জাস্টিন স্টিফেনদের সেই যে কেঁপে যাওয়া শুরু তা জারি রইল নব্বই মিনিট পর্যন্ত। ১০ মিনিটে জটলার মধ্য থেকে চিডি গোল করতেই স্বস্তি লাল-হলুদ সমর্থকদের। কিন্তু তার পরেই পঁচিশ, তিরিশ এবং চল্লিশ মিনিটে রবিনের পাল্লা দিয়ে সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী। যা দেখে চার্চিল ম্যাচ থেকেই নবাগত বিদেশি বরিসিচকে চিডির পাশে জুড়ে দেওয়ার দাবি তুললেন সমর্থকরা। শেষ লগ্নে পেনাল্টি বাইরে মারলেন চিডিও। ম্যাচে শেষে মর্গ্যান বলছিলেন, “ওএনজিসি ম্যাচেও এ রকম গোল মিস হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে আরও সাতটা ম্যাচ জিততেই হবে।”
প্রথম পর্বে এই ম্যাচটাই হেরেছিলেন নওবা সিংহরা। এ দিন বদলার ম্যাচে গোলে অভিজিৎ থেকে রক্ষণে রবার্ট-অর্ণব প্রত্যেকেই অনবদ্য। বিপক্ষ কোচের খেলা শেষে সাফাই, “বাসটা দেরি করে এল। অব্যবস্থা। রিক্সা করে ফুটবলাররা মাঠে এল ম্যাচ শুরুর কুড়ি মিনিট আগে। ম্যাচে মনোনিবেশ হল না।”
১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবলে আপাতত দ্বিতীয় চিডিরা। ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী দুই প্রতিপক্ষ চার্চিল ব্রাদার্স এবং পুণে এফসি। ওই দুই ম্যাচ জিততে পারলে প্রথমবার আই লিগ তালুবন্দি করার লড়াইতে প্রবল ভাবেই থাকবেন লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। |
ইস্টবেঙ্গল: অভিজিৎ, নওবা, অর্ণব, ওপারা (গুরবিন্দর), রবার্ট, লোবো (ইসফাক), মেহতাব, পেন, লালরিনডিকা, চিডি, রবিন (মননদীপ)। |