|
|
|
|
পরিত্যক্ত খনির জলে মিলল নিখোঁজ চার বালকের দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
চার বন্ধু গিয়েছিল ক্রিকেট খেলতে। কাল সকালে। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত কেউ না ফেরায় বাড়ির লোক পুলিশে খবর দেন। এদের বয়স এগারো থেকে ষোলো। পুলিশ তাদের খুঁজে বের করতে তৎপর নয় এমন অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধানবাদের অঙ্গারপাথরা খনি এলাকা। অবশেষে আজ একে একে উদ্ধার হল সকলেরই নিথর দেহ। পরিত্যক্ত খনির গর্তে জলের ভিতর থেকে পুলিশ ওই বালকদের মৃতদেহ উদ্ধার করলেও এলাকার লোকজন ওই মৃতদেহগুলি পুলিশের জিম্মা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে মৃতদেহ আটকে রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত এলাকায় অবরোধ করেন। |
|
চলছে দেহের সন্ধান। রবিবার। ছবি: চন্দন পাল |
পুলিশ তাদের সময়মতো খুঁজে বার করতে পারেনি এমনই অভিযোগ মৃতদের পরিবারের। একই অভিযোগে এলাকার মানুষ আজ সকাল থেকেই এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে অবিরাম পাথর ছোড়া হয়। আহত হন বেশ কয়েক জন পুলিশ কমীর্। পুলিশও মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, চারজনের নাম গৌরব কুমার, রোহিত সাউ, রাহুল সাউ ও রোহিত রাজ । সকলেই অঙ্গারাপাথরায় একই জায়গার বাসিন্দা। শনিবার অনেক রাতে স্থানীয় একটি বন্ধ খনির পাঁচশো ফুট গভীর গর্ত থেকে রোহিতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রবল ঠান্ডার কারণে আর উদ্ধার কাজ চালানো যায়নি। পরে রবিবার সকালে বাকিদের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ গোড়ায় তাঁদের কথা শোনেনি। অনেক রাতে এলাকার লোকজন থানায় গিয়ে চেঁচামেচি শুরু করলে পুলিশ ওই বালকদের সন্ধান করতে শুরু করে। শনিবার রাতেই রোহিতের দেহ মেলে। পরে রবিবার ওই একই জায়গায় কয়েক গর্তের মধ্যে বাকিদের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে বন্ধ খনির ভিতরের গর্তে পড়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই চার জনের। তবে এর পিছনে খুনের অভিসন্ধিকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। বোকারোর ডিআইজি লক্ষণ প্রসাদ বলেন,“সত্যিই কেউ দোষী রয়েছে কিনা তার তদন্ত করা হচ্ছে।”
যদিও ওই কিশোরদের পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেদের খুন করা হয়েছে। তবে কে বা কারা খুন করেছে সে সম্বন্ধে কেউ স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেননি। |
|
|
|
|
|