হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকে চিকিৎসকের পরামর্শ শুনতে বললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু।
প্রবীণ বিধায়কের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে রবিবার সকালে ই এম বাইপাস সংলগ্ন হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিমানবাবু।
রাজ্য সম্পাদককে রেজ্জাক বলেন, তাঁর কোমরে ব্যথা রয়েছে। তবে বাড়ি থেকেই তার চিকিৎসা করা যেতে পারে। সে কথা শুনে বিমানবাবু রেজ্জাককে বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ীই তাঁকে এখন চলতে হবে। দু’দিন আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যখন হাসপাতালে এসেছিলেন, তখন চিকিৎসকেরা তাঁর কাছে অনুযোগ করেছিলেন রেজ্জাক তাঁদের পরামর্শ মেনে চলছেন না। বুদ্ধবাবুও সে দিন রেজ্জাককে চিকিৎসকদের কথা শুনতে অনুরোধ করে গিয়েছিলেন।
সিপিএম সূত্রের খবর, রেজ্জাক বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছেন। তাঁর সহকর্মীদের আশঙ্কা, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই ফের চরকিবাজি শুরু করবেন তিনি। কিন্তু রেজ্জাকের শিরদাঁড়ার হাড়ে যে চিড় ধরা পড়েছে, তাতে প্রায় দেড় মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে হবে। প্রতিদিন ফিজিওথেরাপি করতে হবে। বাড়িতে থেকে এখন সঠিক পরিচর্যা সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের বক্তব্য, “ওঁর বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা রয়েছে। সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।” |
ভাঙড়ে নিগৃহীত হওয়ার পরের দিনই রেজ্জাক বাড়ি চলে পারেন বলে রায় দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। যা হাতিয়ার করে তৃণমূল নেতারা বলতে শুরু করেছিলেন, রেজ্জাক নাটক করছেন। কিন্তু তার পর এমআরআই করে তাঁর কোমরে চিড় ধরা পড়ে। এখন তাঁকে হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা করার কথা বলা হচ্ছে। ফলে তৃণমূলের কটাক্ষ
ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে সিপিএম। বিমানবাবু এ দিন বলেন, “তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা বলছেন, রেজ্জাক নাটক করছেন! ওঁদেরই জিজ্ঞাসা করতে হবে, রেজ্জাক কেমন আছেন! হাসপাতালে শুয়ে শুয়েই হাড়ে চিড় হয়ে গেল কি না, ওঁরা এসে দেখে যান!”
এ দিন দমদমের সভাতেও ভাঙড় প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেছেন বুদ্ধবাবু। সরাসরি আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা বা আরাবুল ইসলাম, কারওর নাম না-করলেও অভিযোগ করেছেন, মহাকরণের মদতেই নৈরাজ্য চলছে। বুদ্ধবাবুর বক্তব্য, “এই প্রথম হচ্ছে, তা নয়। আয়লার সময় হিঙ্গলগঞ্জে প্রবীণ বিধায়ক গোপাল গায়েনের কাদা ছিটিয়ে রাস্তায় হাঁটিয়েছে এই তৃণমূল! হুগলিতে জেলা সম্পাদক পার্টি অফিসে মিটিং করছেন, আক্রমণ করছে ভিতরে ঢুকে! মহাকরণ থেকে এই যে বার্তাটা যাচ্ছে, যা করেছে, ঠিক করেছে! সারা রাজ্যে ওই ধরনের লোকদের (পড়ুন আরাবুল) বার্তা দেওয়া হচ্ছে, ভাঙড় করে যাও! কিচ্ছু হবে না!” |