আসানসোল বইমেলা |
মাদলের তালে পা মেলালেন বইপ্রেমীরাও |
|
মাদল-গিটারে আড্ডা |
আড্ডা ছাড়া কোনও মেলার মাঠ জমে কি? উত্তর, কখনই না। আসনসোল বইমেলার প্রতিদিনেও সেই একই ছবি। সন্ধ্যায় জমজমাটি ভিড়, মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠান তো আছেই। তা বলে দুপুরও মোটেই খাঁ খাঁ নয়। প্রায় রোজই প্রবেশদ্বার খুলতেই গিটার, মাদল, খঞ্জনি হাতে ঢুকে পড়ছেন একদল তরুণ-তরুণী। কখনও হেমাঙ্গ বিশ্বাস। কখনও নিমর্লেন্দু চৌধুরী। আবার কখনও, ‘ভেবে দেখছ কী তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে..’। সবুজের এই অভিযানে পা এবং গলা মেলাতে না নেই বইপ্রেমীদেরও। |
|
আনন্দ পাবলিশার্সের স্টলে ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। |
দর বাড়াতে ভাঁড়ে টান |
বইমেলার মাঠে নাকি এ বার চায়ের ভাঁড়ে টান পড়েছে। অথচ এই পৌষে চায়ের ভাঁড়ে ঘনঘন চুমুক ছাড়া কি জমে বইমেলা! চা বিক্রেতা শুভজিৎ দে জানালেন, ভাঁড় হাতে দর হেঁকেও খদ্দের নেই। মনে হচ্ছে, আয়োজকদের কথা মতো ভাঁড়ের দাম চার টাকা করেই এই বিপদ। অথচ গতবারই অর্ধেক দামে চা বিক্রি করে ভালই রোজগার ছিল। এ বার দর বাড়লো কেন? জানালেন, মেলার দর বাড়াতেই চায়ের দাম বেশি। কিন্তু ভাঁড়ের টান সামলাবে কে! |
|
জমিয়ে বসেছে আড্ডা। |
পাণ্ডব গোয়েন্দা |
রবিবারের বইমেলার বিশেষ আকর্ষণ পাণ্ডব গোয়েন্দার স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিনের মতো এ দিনও দুলকি চালে বইমেলার মাঠে সাধারণ বইপ্রেমীদের ভিড় শুরু হয়। কিন্তু বেলা একটু গড়াতেই হঠাৎ করেই বেড়ে গেল সেই দোলা যখন মাঠে ঢুকলেন খোদ ষষ্ঠীপদবাবু। পাণ্ডব গোয়েন্দা পড়ে যতবেশি রোমাঞ্চ হয় পাঠককুলের তার চেয়েও খোদ ষষ্ঠীবাবুকে মাঠে পেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোমাঞ্চিত হয়ে উঠলেন বইপ্রেমীরা। আনন্দ’র বইয়ের স্টলে বসে নিজের লেখা বইয়ে দেদার সই বিলোলেন তিনি। পাঠককুলের সঙ্গে ধরা দিলেন ক্যামেরার লেন্সেও। |
সংকলন: সুশান্ত বণিক।
—নিজস্ব চিত্র। |
|