ডিওয়াইএফের সভায় হামলা, বারাবনিতে অভিযুক্ত তৃণমূল
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফের বাধা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল শিল্পাঞ্চলে। এ বার ডিওয়াইএফের সম্মেলনে হামলা চালাল এক দল দুষ্কৃতী। বারাবনির নুনি গ্রামে রবিবারের এই ঘটনায় তৃণমূলের লোকজনই জড়িত বলে অভিযোগ ডিওয়াইএফের। কয়েক দিন আগেই আসানসোলে সভা করার অনুমতি না দেওয়ায় তৃণমূল ও কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিজেপি। গত বৃহস্পতিবার আবার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যেতে গাড়িতে ওঠার সময়ে অন্ডালে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা হয়। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বোমা-গুলি নিয়ে চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এ বার সিপিএমের যুব সংগঠনের কর্মসূচি ভণ্ডুলের চেষ্টার আঙুল উঠল তৃণমূলের দিকে।
ডিওয়াইএফের সম্মেলনের মাঠে উল্টে পড়ে চেয়ার-টেবিল, তছনছ সভামঞ্চ।
রবিবার বারাবনিতে ছবিটি তুলেছেন শৈলেন সরকার।
এ দিন নুনি গ্রামের মাঠে ডিওয়াইএফের বারাবনি ১ লোকাল কমিটির সম্মেলন ছিল। মাঠের মাঝে ম্যারাপ বেঁধে সম্মেলনের জন্য মঞ্চ গড়া হয়। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সম্মেলন শুরু করা হয়। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ সম্মেলন শুরু করা হয়। ওই লোকাল কমিটির সম্পাদক কপিল ঘোষ অভিযোগ করেন, সবেমাত্র শহিদ বেদীতে মালা দিয়ে তাঁরা প্রস্তাবনা পাঠ শুরু করেছেন, তখনই রিভলবার, লাঠি ও রড নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে এসে কুড়ি-বাইশ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হামলা চালায়। তারা প্রথমেই শহিদ বেদী উল্টে দেয়। তার পরে ম্যারাপ, চেয়ার-টেবিল, ব্যানার লণ্ডভণ্ড করে দেয়। ডিওয়াইএফ নেতৃত্বের অভিযোগ, তাদের প্রায় শ’দেড়েক প্রতিনিধি তখন সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের মারধরও করে দুষ্কৃতীরা। সম্মেলন করা যাবে না বলে হুমকি দিয়ে মাঠের মাঝে গিয়ে রিভলবার থেকে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে তারা। কপিলবাবুর দাবি, গুলি ও হই-হট্টগোলের আওয়াজ শুনে আশপাশের কোড়াপাড়া, সাঁওতাল পাড়া-সহ কয়েকটি অঞ্চলের লোকজন ছুটে আসেন। আধ ঘণ্টা তাণ্ডবের পরে ওই বাসিন্দাদের প্রতিরোধের মুখে পড়েই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে দাবি ডিওয়াইএফ নেতাদের। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি আভাস রায়চৌধুরীর অভিযোগ, “আমাদের কর্মীদের সঙ্গে জঘন্য আচরণ করল তৃণমূলের লোকজন।” হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিপিএমের অন্য গণসংগঠনের কর্মী-সদস্যরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশও। এর পরে ডিওয়াইএফ নেতা-কর্মীরা ওই ভাঙা মঞ্চেই সম্মেলনের কাজ শুরু করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সম্মেলন শেষ করা হয়।
এই ঘটনায় তৃণমূলের যুক্ত থাকার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন দলের বারাবনি ব্লক যুব নেতা পাপ্পু উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “বহু দিন থেকেই ওই এলাকায় ডিওয়াইএফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এই ঘটনা তারই জের।” তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, রবিবার এই ঘটনার পরে ওই এলাকায় রাস্তায় দুই তৃণমূল যুব কর্মীকে ডিওয়াইএফ সদস্য-সমর্থকেরা আক্রমণ করে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ও এই ঘটনায় তাদের দলের কারও জড়িত থাকার কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.