তারাবাজি |
তিন কন্যার গল্প
একজন ‘হানি বানি’-র বিজ্ঞাপন করে নজর কেড়েছেন। অন্য জন সুস্মিতা সেনের হাত ধরে
মিস ইউনিভার্সে প্রতিযোগিতার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন লাস ভেগাস। আর এক জন কলকাতায় বসেই
ভারতের সব তাবড় তাবড় ডিজাইনারদের জন্য র্যাম্পে হাঁটছেন প্রতিনিয়ত। স্বীকৃতির মতো সীমাবদ্ধতাও
আছে এ শহরের ফ্যাশন দুনিয়ায়। কলকাতার র্যাম্পের ওঠাপড়ার জীবন তুলে ধরলেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
|
হানি বানির অ্যাডটা এখানে বসেই পেয়েছি |
হানি বানি বিজ্ঞাপনটা ঝড় তুলে দিয়েছে সারা দেশে। ট্যারান্টিনো-র কাল্ট ছবি ‘পাল্প ফিকশন’য়ের এক চরিত্রের নাম থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি এই জিঙ্গলটা এখন একটা জনপ্রিয় রিংটোন। দেশের কোনও পার্টিই সম্পূর্ণ হতে চায় না এই জিঙ্গলটা ছাড়া। খুব কম লোকই জানেন, এই বিজ্ঞাপনে মডেলিং করেছেন কলকাতারই সুইটি সিংহ। বাবা রাজপুত। মা বাঙালি। ঠিকানা আলিপুর।
কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় ‘হোর্ডিং গার্ল’। এটাই তার এক সময়ের পরিচয় ছিল। পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের সিনেমা ‘ফ্যাশন’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এই বিজ্ঞাপনটা করতে অবশ্য প্রায় ‘না’ করে দিয়েছিলেন। “প্রথম যখন অডিশন দিতে গিয়েছিলাম, আমি তো ওখান থেকে প্রায় পালিয়ে আসি। অডিশন-এ বলা হয়েছিল একটা তামিল বা তেলুগু গান গাইতে। পালিয়ে এসেছিলাম ভয় পেয়ে।”
যদিও ‘অ্যাড’-টাতে শেষমেশ কোনও মডেলকে গাইতে হয়নি, তবে অডিশনের সময় সবাইকে গেয়ে শোনাতে হয়েছিল। “আমি বাড়ি ফিরে আসি অডিশনটা না দিয়ে। তার পর এজেন্সি থেকে অনেক বার ফোন আসে। শেষে আমি ভাবি একবার চেষ্টা করি। দুরুদুরু বুকে গানটা আবার গেয়ে দিই। তখন ওরা আমাকে ‘হানি বানি’ গানটা শোনায়নি। আসল প্ল্যানটা হয়তো ছিল সব মডেলকে দিয়ে ‘অ্যাড’-টায় গাওয়ানোর। পরে সেই প্ল্যানটা বাতিল হয়ে যায়,” বললেন সুইটি।
|
সুইটি সিংহ |
|
• ভাইটাল স্ট্যাটস: ৩৪-২৭-৩৭
• হাইট: ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি
• সানসাইন: লিব্রা
• সেক্সি পোশাক: হট-প্যান্টস
• পছন্দের পুরুষ মডেল: মিলিন্দ সুমন |
ছবি: ঋতম বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
পুজোর আগে শ্যুটিং হয়। প্রথমে ‘হানি বানি’ গানটা শুনেই বুঝেছিলেন যে এটা হিট হবে। সঙ্গে সঙ্গেই সেটাকে নিজের রিংটোন করে ফেলেন।
রিংটোনটা কলকাতাতেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। বলাই বাহুল্য তিনি ভীষণ খুশি। এখানে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের মাঝে মাঝে, সিনেমা করার ইচ্ছেও বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। করে ফেলেছেন সোহাগ সেনের ওয়ার্কশপ। “২০০৮য়ে আমি একতা কপূরের সিরিয়াল সাইন করে মুম্বই শিফ্ট করি। সিরিয়ালের নাম ‘ক্রেজি কিয়া রে’। জয় ভানুশালি আর অনিতা হসনন্দানির সঙ্গে। তবে সিরিয়ালটা হয়নি।”
সুইটি হাল ছাড়েননি। থেকে যান মুম্বইতে। বন্ধুর সঙ্গে রুম শেয়ার করেন। ‘ফ্যাশন’ ছবিটি করার আগে প্রচুর বিজ্ঞাপন করেন মুম্বইতে বসে। “অডিশনে মধুর স্যর আমাকে বেছে নিয়েছিলেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। ছবিতে প্রিয়াঙ্কার প্রাক্তন প্রেমিকের গার্লফ্রেন্ডের রোলে অভিনয় করেছিলাম। আমার কোঁকড়া চুল প্রিয়াঙ্কার খুব পছন্দ ছিল,” সুইটি বলেন।
২০১১ সালে সুইটি কলকাতায় ফিরে আসেন। অসুস্থ মায়ের দেখাশোনা করতে। “আমি কলকাতায় থাকলে মা সুস্থ। চলে গেলেই শরীর খারাপ হয়ে যায়।”
তবে মুম্বই মিস করেন মাঝে মধ্যেই। “ওখানকার ওয়ার্ক কালচারটাই আলাদা। রোজ অডিশন হচ্ছে। আজ পর্যন্ত যে ক’টা অ্যাড করেছি, অডিশন করেই পেয়েছি। কলকাতাতে অডিশন করার রেওয়াজটা চালু হয়নি এখনও। তাই সে ভাবে কাজের খবর পাই না।”
তবে আশা করেন আগামী দিনে এ শহরটাও বদলাবে। |
|
কৃষ্ণকলি হয়েই মিস ইউনিভার্সে গিয়েছি |
সব কাজ শেষ হয়ে গেলে প্রায়ই রাতে সুস্মিতা সেন না কি দুই কন্যাকে নিয়ে আয়নার সামনে নাচেন।
হ্যাঁ, সেটাই নাকি ওঁর স্ট্রেস বাস্টার। অন্তত ঊষসী সেনগুপ্তর কথা অনুযায়ী।
সেটাই না কি রুটিন। সুস-য়ের ‘আই অ্যাম শি’ কনটেস্টের প্রথম বিজেতা কলকাতার ঊষসী। সুস্মিতার সঙ্গে দেখা হওয়াটা নাকি তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। চব্বিশ বছরের কেরিয়ারে এটাই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে সানন্দা তিলোত্তমা থেকে। “ফার্স্ট রানার-আপ হয়েছিলাম। তখন সেন্ট জেভিয়ার্সে সোশিওলজি নিয়ে পড়ি,” ঊষসী বলেন।
তার পর দু’বছর চুটিয়ে মডেলিং। কলকাতায়। ২০১০ সালে শুরু হয়ে যায় ‘আই অ্যাম শি’-এর প্রস্তুতি। “তখনই মুম্বইয়ে শিফ্ট করি। সুস্মিতার মতো ওয়ার্ম মানুষ খুব কম দেখেছি। আমি ওঁর ফটো জমিয়ে বড় হয়ে উঠেছি। অ্যান্ড দেয়ার শি ওয়াজ, মাই মেন্টর। জীবনটাই বদলে গেল,” ঊষসী বলেন। পাসপোর্ট বানিয়ে প্রথমবার বিদেশ পাড়ি দেওয়া সুস্মিতার হাত ধরে। লাস ভেগাসে মিস ইউনিভার্স প্যাজেন্টে। “জীবনের ৩২টা দিন যে কী ভাবে কেটে গেল ভাবতেই পারি না। সুস্মিতাকে সবাই চেনেন। ফাইনালের দিন ব্যাকস্টেজে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “যাই হোক মনে রাখবে তুমি কিন্তু অলরেডি মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স হয়ে গিয়েছ,” ঊষসী বলেন।
সে বার মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন মিস মেক্সিকো। “তবে লাস ভেগাসে সবাই আমাকে ইন্ডিয়া বলে ডাকত। কারও আমার কোঁকড়া চুল পছন্দ হলে বলত, এই যে ইন্ডিয়া এ দিকে এসো দেখি। আমিও ইন্ডিয়া ডাক শুনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম,” বললেন তিনি। |
উষসী সেনগুপ্ত |
|
• ভাইটাল স্ট্যাটস: ৩২-২৩-৩৬
• হাইট: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি
• সানসাইন: লিও
• সেক্সি পোশাক: শাড়ি
• পছন্দের পুরুষ মডেল: ফ্রেডি দারুওয়ালা |
ছবি: সায়ন সুর রায় |
|
দেশে ফিরে আরও মডেলিং। “মুম্বইতে থাকি। আর ভীষণ দেশ-বিদেশ ঘুরতে ভালবাসি। বাঙালি বলে বোধ হয় সুস্মিতা আর আমার একটা অন্য যোগও আছে। রেনে (সুস্মিতার মেয়ে) আমার বন্ধুর মতো। সুসের বড় গুণ হল ও ভীষণ অ্যাপ্রোচেবল। তবে আমি একটু ভয় পাই ওঁকে,” একটু লজ্জা পেয়ে বলেন ঊষসী।
কাজের ক্ষেত্রে মুম্বই তাঁর প্রিয় শহর। “মুম্বইতে কাজের খোঁজ করাটাও একটা কাজ। সবাই খাটে এখানে। সে স্ট্রাগলার হোক কী শাহরুখ খান। কম্পিটিশনটাও বেশি। টাকার অঙ্কটাও বেশি।”
কলকাতায় পাকাপাকি ভাবে ফিরতে চান না আর। “একটা স্টেজের পরে কলকাতাতে একঘেয়েমি এসে যায়। আর একটা অদ্ভুত ব্যাপার, কলকাতা থেকে যে সব সুপার মডেল উঠে এসেছেন তাঁরা সবাই শ্যামবর্ণা। তবু কেন জানি না কালো মডেলদের ফর্সা করার একটা প্রবণতা আছে এখানে। প্রথম প্রথম আমাকেও কথা শুনতে হত। আমি কৃষ্ণকলি। আমি ফর্সা হতে চাই না,” সাফ জানিয়ে দেন ঊষসী। প্রতি দু’-তিন মাস অন্তর কলকাতায় এসে কাজ করে যান তিনি। যেমন এখন এসেছেন, “বেশি দিন মায়ের হাতের রান্না না খেয়ে থাকতে পারি না যে।”
সামনেই একটা মালয়ালম ছবি ‘গুডবাই ডিসেম্বর’-এর শ্যুটিং শুরু। আর টলিউড? কথা চলছে। এর থেকে বেশি বলা বারণ। |
|
কলকাতা ছেড়ে আমি কোথাও যাব না |
রোহিত বালের জন্য তিনি যখন প্রথম বার র্যাম্পে হাঁটেন, রোহিত ওঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, “গুড হাইট। গুড ওয়াক”।
ঘটনাটা ২০০৭য়ের। ২০০৬য়ের ‘সানন্দা তিলোত্তমা’ হওয়ার পরের বছর।
তখন থেকেই দেশের তাবড় তাবড় ডিজাইনারের জন্যই র্যাম্পে হেঁটেছেন তিনি। রীতু কুমার থেকে নীতা লুল্লা, ওয়েন্ডেল রডরিকস থেকে নরেন্দ্র কুমার, রীতু বেরি থেকে বিবি রাসেল। দেশের সমস্ত টপ ডিজাইনারের জন্যেই র্যাম্পে হেঁটেছেন মাধবীলতা অমৃতা মিত্র।
শুধু এঁরাই নন। তালিকাটা আরও দীর্ঘ। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, সৌমিত্র মণ্ডল, অভিষেক দত্ত। রয়েছেন সবাই।
কলকাতা থেকে কি তবে মুম্বইতে বাসা বদল করবেন? একবার জিজ্ঞেস করেই দেখুন ৫ ফুট ১১ ইঞ্চির এই মডেল কন্যাকে।
উত্তরটা অবশ্যই ‘না’।
“যখন একটা পেশাকে খুব ভালবাসে একটা মানুষ, তখন সব নেগেটিভগুলো জেনেই সে কিন্তু মানিয়ে চলে। আমি সারা ভারতে কাজ করি। তবু কাজ শেষ হলে, আমি জানি আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে। আমি ভীষণ ঘরকুনো। আজও একটা মুড়ির ঠোঙাতে আমার একটা ছবি বেরোয়, আমার প্রতিবেশী এসে নক করে বাড়িতে সেটা বলে যায়। এই আন্তরিকতাটা আমি আর কোথায় পাব?” এক কাপ কফিতে চুমুক দিয়ে বলেন তিনি।
তবে স্বীকার করেন যে আজ কলকাতা ছেড়ে মুম্বই বা দিল্লিতে থাকলে, হয়তো জীবনের মোড়টা অন্য দিকে ঘুরত। একজন টপ মডেল মুম্বই আর দিল্লিতে শো পিছু ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা কামাতে পারে। কিন্তু কলকাতা হলে সেই একই মডেল হয়তো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি কামাতে পারবে না। “তবে চেন্নাইতে তো আরও বেশি টাকা পাওয়া যায়। স্পটলাইটটা দিল্লি আর মুম্বইতে। হয়তো এক্সপোজারটাও বেশি,” বলেন মাধবী। পরিকাঠামোর দিক দিয়ে কলকাতা কোনও ভাবেই পিছিয়ে নেই। “কলকাতার ফ্যাশন শোর পিছনের পর্দার আড্ডা মানে চা আর মুড়ি। দিল্লি আর মুম্বইতে চা-মুড়ির বদলে থাকে কফি। পরিকাঠামোর কোনও তফাত নেই। সব জায়গাতেই দু’টো মডেলের জন্য একটা করে টেবিল, একটা আয়না আর একটা র্যাক। টপমোস্ট লেভেলে সবাই ভীষণ পেশাদার।” |
মাধবীলতা অমৃতা মিত্র |
|
• ভাইটাল স্ট্যাটস: ছবি: দেবাশিস মিত্র
• হাইট: ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি
• সানসাইন: স্যাজিটেরিয়াস
• সেক্সি পোশাক: শাড়ি
• পছন্দের পুরুষ মডেল: অর্জুন রামপাল, সাহিল সরাফ |
ছবি: দেবাশিস মিত্র |
|
পার্থক্য হল কলকাতা বড় বেশি ঘরোয়া। “কনট্র্যাক্ট না সই করে বরং মুখের কথায় আমরা অনেক সময় কাজ করতে রাজি হয়ে যাই। পাঁচটার বদলে যদি ছয় নম্বর পোশাক পরে র্যাম্পে হাঁটার জন্য যোগ্য কোনও ডিজাইনার আমাকে একটু মিষ্টি করে অনুরোধ করেন, আমি সেখানে রাজি হয়ে যাই। কারণ আমার কাছে সম্পর্কের একটা দাম আছে। মুম্বই বা দিল্লিতে হয়তো পুরোটাই প্রফেশনাল,” উনি বলেন।
বাড়িতে কারও মডেলিং সম্পর্কে ধারণাই ছিল না। তবে বাধাও দেয়নি এই পেশায় আসতে। “তিলোত্তমার পরে আমার ছবি কাগজে বেরোয়। আমি রবীন্দ্রভারতীর ছাত্রী। পলিটিকাল সায়েন্সের এমএ করেছি। মনে আছে গ্র্যাজুয়েসনের সময় পরিদর্শকরা আমাকে দেখে বলেন ‘এ মা! এ তো কুৎসিত দেখতে। এর ছবি বেরিয়েছে নাকি!’ আজ ভেবে হাসি পায়। কিন্তু তাদের দোষ দেব না। আমি তো একমাথা তেল মেখে একটা ঝুঁটি বেঁধে গিয়েছিলাম। ছবি না বেরোলে কেউ বুঝতে পারতেন না যে আমি মডেল,” হেসে বলেন মাধবীলতা।
তবে কাজ শুরু করে দিলে কোনও কটূক্তির সম্মুখীন হতে হয়নি। পাড়ার লোকেরা প্রশ্ন করেনি কেন এত রাত-বিরেতে একটি মেয়ে বাড়ি ফিরছে। “বাড়িতে দশটার পরে ফিরতে গেলে মাকে ফোন করে বলি কোথায় যাচ্ছি। এ ভাবেই বড় হয়েছি। কোনও দিন আফটার-পার্টিতে যাই না বলে কাজ কম এসেছে তা নয়। আমার পার্টি মানে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতে বসে আড্ডা দেওয়া।”
‘স্কিন শো’ নিয়ে কেউ কোনও দিন বিদ্রুপ করেননি। “সুপার মডেল নয়নিকা চট্টোপাধ্যায় আমাকে গ্রুম করেছেন। ম্যাডামের কাছে শিখেছি যে একজন মডেলের একমাত্র দায়িত্ব হল ডিজাইনারের পোশাক বা গয়নাগুলোকে সুন্দর করে ডিসপ্লে করা। যখন র্যাম্পে হাঁটি, কারও দিকে তাকাই না। একবারও ভাবি না অনেক লোক আমার শরীর দেখছে। এ সব ভাবলে তো হাঁটতেই পারব না।”
তবু আজও তাঁকে টলিউড আপন করে নেয়নি। তা কি তাঁর হাইটের জন্য? “আরে চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই লম্বা হিরো পাওয়া যাবে। আমি অভিনয় শিখিনি। তবে ভাল পরিচালক আমাকে দিয়ে নিশ্চয়ই কাজ করিয়ে নিতে পারবেন।” স্বীকার করে নিতে অবশ্য ওঁর অসুবিধে নেই যে আজও স্বপ্ন দেখেন শুধুমাত্র মডেলিং নিয়ে। “বিদেশে শো করার কথাও মাথায় আসে। ওখানকার স্টাইলটা আলাদা। ওরা সাইজ জিরোতে বিশ্বাসী। আমাদের অন্য ধারা। তবে বিদেশ গিয়ে আমি আমার নিজস্বতাকে বজায় রেখে লোকের নজর কাড়তে চাই। মিলান, শিকাগো বা লন্ডনের র্যাম্পে হাঁটলে যেন সব সাইজ জিরো মডেলের মধ্যে মানুষ আমাকেই দেখে বলে, ‘দেখো দেখো এই মেয়েটি ইন্ডিয়া থেকে এসেছে।” |
|
|