রাজনৈতিক কোন্দল ছাড়ল না স্বামী বিবেকানন্দকেও। মনীষীর জন্ম-সার্ধশতবর্ষে এই ঘটনার সাক্ষী রইল হুগলির আরামবাগ। ‘আমরা-ওরা’র ধারা জিইয়ে রেখে বিবেকানন্দের মূর্তিতে সিপিএম পুরপ্রধানের দেওয়া মালা খুলে নিলেন তৃণমূলের সমর্থকেরা। বদলে অবশ্য নতুন মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁরা। আরামবাগ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরহাটি মোড়ে (নতুন নাম হয়েছে বিবেকানন্দ মোড়) সকাল ৯টায় সিপিএম পুরপ্রধান গোপাল কচ বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দেন। তার কিছুক্ষণ পরই আসেন তৃণমূলে লোকজন। অভিযোগ, প্রথমেই সিপিএম পুরপ্রধানের দেওয়া মালা খুলে নেওয়া হয়। তারপর, রাস্তার এক দিক বন্ধ করে ‘উদ্যাপন’ করা হয় বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রচপাল সিংহ, আরামবাগের বিধায়ক তৃণমূলের কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, সহ শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব। জন্ম-সার্ধশতবর্ষে বিবেকানন্দকে নিয়ে এই ধরনের ‘রাজনীতি’তে ক্ষুদ্ধ সাধারণ মানুষ। এক প্রত্যক্ষদর্শীর ক্ষোভ, “পুরপ্রধানের দেওয়া মালাটা রেখেও কী শ্রদ্ধা জানানো যেত না?” গোপালবাবুর বক্তব্য, “প্রতি বছরের মতোই বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। ওঁরা যা পেরেছেন করেছেন।” তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার সাফাই, “মালা কে খুলেছে, আমরা দেখিনি। হয়তো মূর্তি পরিস্কার করা হচ্ছিল। ঘটনাটি আমার সামনে হলে আমি নিশ্চয় বাধা দিতাম।”
|
সিপিএমের জাঙ্গিপাড়া জোনাল কমিটি কার্যালয়ে ঢুকে সম্পাদককে হেনস্থা ও নেতাদের গাড়ি ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মী নেপাল মণ্ডলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতেই তাঁকে ধরা হয়। শনিবার শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃত জামিন পান। শুক্রবার বিকেলে বৈঠকের মাঝে ওই কার্যালয়ে ঢুকে নেপাল সিপিএমের জাঙ্গিপাড়া জোনাল সম্পাদক হরপ্রসাদ সিংহ রায়কে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। দলের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী এবং রাজ্য কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্যের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রাতেই নেপালের বিরুদ্ধে জাঙ্গিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম। আজ, রবিবার জেলা তৃণমূলের তরফে জাঙ্গিপাড়ায় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। দলের জেলা নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায়ের দাবি, অতীতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা বারেবারে আক্রান্ত হয়েছেন সিপিএমের হাতে। কিন্তু প্রতিকার মেলেনি। তিনি বলেন, “এই আমলে গণতন্ত্র যে সুপ্রতিষ্ঠিত, তার নমুনা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।”
|
চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে শনিবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন তার পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং নার্সের বিরুদ্ধে থানা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃত শিশুটির বাবা বিমল বিসওয়াল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। গত ১০ জানুয়ারি শহরের ননীলাল ভট্টাচার্য স্ট্রিটের বাসিন্দা বিমলবাবুর স্ত্রী মমতা ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। সে দিনই তিনি একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। বিমলবাবুর দাবি, শনিবার সকালে শিশুটি সুস্থই ছিল। কর্তব্যরত নার্সের কথামতো তিনি একটি ওষুধও কিনে আনেন। তাঁর অভিযোগ, “সকাল সওয়া ১০টায় আমি ওষুধটা এনে দিই। তা খাওয়ানো মাত্রই ছেলের মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা উঠতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গেই সে মারা যায়।” এর পরেই নার্সদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
|
রেলের একটি পরিত্যক্ত অফিস থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শালিমার স্টেশনের কাছে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পকেট থেকে কিছু মাদকের প্যাকেট মেলায় পুলিশের ধারণা, তিনি মাদকাসক্ত। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের মুখ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ। তাঁর পুরুষাঙ্গও কেটে ফেলা হয়েছে। গলায় রয়েছে কাটা দাগ। মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। পুলিশের ধারণা, ওই যুবককে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কারা এই ঘটনায় জড়িত জানা যায়নি। খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
শনিবার সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর ও সোনারপুর স্টেশনের মাঝখানে সকাল সওয়া আটটা নাগাদ রেল লাইনে ফাটল দেখা দেয়। ফাটল সারিয়ে ফের ট্রেন চলাচল করতে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। এ দিনই পূর্ব রেলের হাওড়া মেন লাইনে হিন্দমোটর স্টেশনে ব্যান্ডেলগামী লোকাল ট্রেনের চাকা থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখা যায়। যাত্রীরা আাতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রেলের ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, একটি চাকার সঙ্গে ব্রেক স্যু আটকে রয়েছে। তাতে চাকা গরম হয়ে গিয়ে ধোঁয়া বার হচ্ছে। এর জেরে এ দিন দুপুর ১২টা ৪০ থেকে ১টা পর্যন্ত মেন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। |