|
|
|
|
|
শহর থেকে গ্রাম, আবারও
ধর্ষণ,
ফের অভিযুক্ত পুলিশ
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
|
প্রতিবাদ চলছেই। কাঠগড়ায় পুলিশ থেকে প্রশাসন। দেশ জুড়ে আইন-সংস্কারের দাবি উঠছে ধর্ষণের মতো অপরাধে চরমতম শাস্তি চাই। তবে মানবিকতা দূরে থাক, শাস্তির ভয়ও কী তৈরি হয়েছে অপরাধী-মনে? প্রতিদিন একের এক ধর্ষণ-শ্লীলতাহানি-নারী নিগ্রহের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।
আজই প্রকাশ্যে এল পুণের ঘটনা। হবু বরের সঙ্গে শিরডি থেকে পুণে এসেছিলেন ১৮ বছরের তরুণীটি। অভিযোগ, শহরের একটি মলের কাছে এক মহিলা-সহ চার জন তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় ধুলের একটি যৌনপল্লিতে। এর পর শুরু হয় অত্যাচার। যৌনবৃত্তিতে নামতে নারাজ মেয়েটিকে বেধড়ক মারতে শুরু করে মালিক। ৪৮ ঘণ্টা বিভীষিকার পর কোনও মতে পালিয়ে আসেন তিনি।
তবে তরুণীর বক্তব্য, পরের অধ্যায়টি আরও ভয়ানক। প্রেমিকের সঙ্গে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। সব শুনে পুলিশ জানিয়ে দেন, তাঁরা সব বানিয়ে বলছেন, এমন কিছুই হয়নি। তরুণীর কথায়, “ওরা আমার কথার উপর রং চড়াতে শুরু করে। আমি সত্যি বলছিলাম, কিন্তু ওরা বলছিল সব মিথ্যে। পুলিশের দাবি, আমাদের একটা দল রয়েছে এবং আমার পরিবারও এতে জড়িত।” তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে এবং তাঁর প্রেমিককে মারধরও করে। কোরেগাঁও থানার পুলিশ অফিসার শিবাজি কাম্বলে বলেন, “তোফখানা পুলিশ ওদের অভিযোগ নেয়নি। এর পরই আমরা হস্তক্ষেপ করি।”
১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের দিকে আঙুল ওঠে। পাটিয়ালার ঘটনাতেও অভিযোগ না নেওয়ার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয় পুলিশকে। পরে মেয়েটি আত্মঘাতী হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুণেতেও সেই একই ঘটনা। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য আজ গাজিয়াবাদের সিহানি চুঙ্গি থানার এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হল। গত বুধবার সন্ধে হয়ে গেলে মেয়ে বাড়ি না ফেরায়, থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান মেয়েটির বাবা। অভিযোগ, তখন ওই কনস্টেবল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী উচ্চপদস্থ অফিসারদের খবরও দেয়নি সে। পরের দিন সকালে খেতের মধ্যে মেয়েটির দেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে ধরা পড়ে তাকে কেউ ধর্ষণ করে খুন করেছে। আততায়ী কিন্তু খুব সাবধানী। ছ’বছরের মেয়েটিকে যাতে কেউ চিনতে না পারে, তাই তার মুখটাকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় সে। কালই আবার হুবহু দিল্লির সেই ঘটনা ঘটে পঞ্জাবে। বাসে করে বাপের বাড়ি থেকে ঘুকলা গ্রামে ফিরছিলেন ২৯ বছরের তরুণী। বাসের কনডাক্টর এবং চালক তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও পাঁচ জন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাত জনের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে পুলিশ এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি।
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত যতই বলুন না কেন ধর্ষণ আধুনিক ভারতের সমস্যা, গ্রামে এ সব হয় না, প্রতিদিনই কিন্তু তিনি মিথ্যে প্রমাণিত হচ্ছেন। ঘুকলা কিংবা সিহানি চুঙ্গির মতো বরাবাঁকির রসুলপুর গ্রামে ধর্ষিত হয়েছে আট বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে। দিল্লির ঘটনায় রাজস্থানের স্বঘোষিত ধর্মগুরু দাবি জানিয়েছিলেন, ‘এক হাতে তালি বাজে না’। উল্লেখ্য, ধর্ষণের লজ্জায় আজই হরিয়ানার সোনীপতে গায়ে আগুন দিয়েছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া দেহ নিয়ে আপাতত জীবনের সঙ্গে লড়ছে সে। |
|
|
|
|
|