রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে এক হাসপাতাল জানিয়েছিল, প্রসূতি এইচআইভি পজেটিভ। অন্য হাসপাতালে পরীক্ষার পরে জানা গেল, আদৌ তেমন কিছু হয়নি তাঁর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মগরায়। প্রথম হাসপাতালটি মগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। শুক্রবার যেখানে প্যাথলজি বিভাগে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান কিছু গ্রামবাসী।
মগরার গজঘণ্টার ওই প্রসূতি চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন মগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁকে রক্ত পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরই প্যাথলজি সেন্টারে পরীক্ষা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর রিপোর্টে জানা যায়, মহিলা এইচআইভি পজেটিভ। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য আনা হলে চিকিৎসকেরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। জানিয়ে দেওয়া হয়, এই রোগের চিকিৎসা করাতে হলে যেতে হবে জেলা সদর হাসপাতাল চুঁচুড়ায়। এ দিকে, এই পরিস্থিতিতে ওই প্রসূতির পরিবারেও অশান্তি শুরু হয়। রোগের আশঙ্কায় স্বামী-স্ত্রী মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েন বলে জানিয়েছেন।
এ দিকে, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে গেলে সেখানে ফের রক্তের নমুনা পরীক্ষা হয় ওই মহিলার। গত ১৮ ডিসেম্বর রিপোর্টে জানা যায়, তাঁর শরীরে এইচআইভি-র কোনও লক্ষ্মণই নেই। এ বার মগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের কাছে ভুল স্বীকারের দাবি জানান ওই দম্পতি। কিন্তু কোনও রকম সদুত্তর পাননি বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরে তাঁদের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষ বিক্ষোভ দেখান ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্যাথলজি সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ওই প্রসূতির স্বামী বলেন, “সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার উপরে ভরসা না রেখে উপায় নেই আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। কিন্তু এই পরিস্থিতি হলে কোথায় যাব?” স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানাতে চায় ওই পরিবারটি। এ বিষয়ে হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তনিমা মণ্ডল বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। যা জানানোর স্বাস্থ্য দফতরই জানাতে পারে।” |