|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
উপাদান বাঁচিয়া উঠুক |
বইপোকা |
জীবনানন্দ দাশ চটিয়া গিয়াছিলেন। বনলতা সেন গ্রন্থের সিগনেট-সংস্করণে সত্যজিত্ রায়-কৃত প্রচ্ছদটি দেখিয়া। বলিয়াছিলেন, সত্যজিতের বনলতা যেন রাজকুমারী অমৃতা কউর! বঙ্গীয় গ্রন্থেতিহাসের ফুটপথে, রোয়াকের কোনায় এমনতর অ্যানেকডোটস ছড়াইয়া-ছিটাইয়া আছে। অন্ধকারে, টাইটল পেজের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নামোল্লেখে মিলাইয়া আছেন বাংলা গ্রন্থের অধিকাংশ প্রচ্ছদশিল্পীও। ঠাকুরের প্রবল চাপে যেমন বাংলার অনেক লেখক, তেমনই রায়ের আলোচনার প্রাবল্যে হারাইয়া গিয়াছেন অনেক প্রচ্ছদশিল্পীও। অথচ ইংরাজি ভাষায় প্রচ্ছদ মোটেই গৌণ নহে। ৭৫ বর্ষে পেঙ্গুইন হইতে যত গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে তাহাদের প্রকাশিত প্রচ্ছদ, বাতিল প্রচ্ছদ, গ্রন্থ-শিল্পী-র বক্তব্য এবং সেই গ্রন্থের লেখকের দুঃখ-অভিমান-বিরক্তির একটি সংকলনই প্রকাশিত হইয়াছিল, PENGUIN 75: Designers Authors Commentary (the good, the bad...)। আশার কথা, কোনও প্রকাশন-প্রতিষ্ঠান না করিলেও বঙ্গীয় প্রচ্ছদশিল্পের ইতিহাসটিকে ধরিয়া রাখিতেছে লিটল ম্যাগাজিনের সযত্ন সাহসই। তাহার সাম্প্রতিক নিদর্শন ‘বিষয় কার্টুন’ পত্রিকার (সম্পাদক বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায়, সংখ্যা সম্পাদনা প্রদীপ দত্ত) সাম্প্রতিক খালেদ চৌধুরী সংখ্যাটি। তাঁহার প্রচ্ছদশিল্পের বেশ কিছু নিদর্শন এবং তিন শতাধিক প্রচ্ছদের একটি তালিকা ইহার উজ্জ্বল উদ্ধার। অর্ধ শতকেরও বেশি সময় জুড়িয়া গ্রন্থের প্রচ্ছদ নির্মাণ করিয়াছেন খালেদবাবু, তাহার বেশ কিছু বিস্মৃতির অতলে। তবু প্রদীপ দত্ত নামে এক সহ-নাগরিক সংগ্রহ করিয়া চলিয়াছেন খালেদ-প্রচ্ছদগুলি। ইতিহাস ভবিষ্যতে কেহ নিশ্চয় লিখিবেন, আপাতত উপাদানগুলি ত ধূলামাটির ভবিষ্যত্ হইতে বাঁচিয়া উঠুক। |
|
|
|
|
|