সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বেলডাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন ১২ জন সদস্য। ৪ জানুয়ারি সভাপতি বিলকিস বেগম পঞ্চায়েত সমিতির ৫ সদস্যকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। শুক্রবার দুপুরে কংগ্রেসের এগারো জন কংগ্রেস এবং এক নির্দল সদস্য অনাস্থাপত্র জমা দেন মহকুমাশাসককে। বহরমপুর সদর মহকুমাশাসক অধীর বিশ্বাস বলেন, “ওই পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন সদস্য আমার দফতরে অনাস্থা জমা দিয়েছেন। অনাস্থাপত্র দেখে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
ব্লক কংগ্রেসের (পশ্চিম) সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামাণিক বলেন, “আশা করছি দু’সপ্তাহের মধ্যে ভোটাভুটি হবে।” ভোটাভুটিতে ৩০ জন সদস্যের মধ্যে ১৬ জনের সমর্থন পেতে হবে। এখানে বামফ্রন্টের ভূমিকা বড় হয়ে দাঁড়াবে। সিপিএমের শক্তিপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক শ্যামল দুবে বলেন, “ভোটাভুটির দিন আমাদের ভূমিকা এখনও ঠিক হয়নি।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ সদস্যের পঞ্চায়েত সমিতিতে ছিলেন ১৫ জন কংগ্রেস, ১৩ জন বামফ্রন্ট এবং ২ জন নির্দল সদস্য। তাঁদের মধ্যে সম্প্রতি ৫ জন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। পরে এক জন দলে ফিরে আসেন। এক নির্দল এবং এক সিপিএম সদস্যও যোগ দেন তৃণমূলে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “এলাকার উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যেতে বিলকিস বেগম এবং হুমায়ূন কবির হাত মিলিয়েছে। উন্নয়ন ব্যাহত করতে এই অনাস্থা আনা হয়েছে। তবে এতে কোনও সমস্যা হবে না।” সভাপতি বিলকিস বেগম বলেন, “ঠিক সময়ে দেখা যাবে কি হয়। তবে রাজ্যের মন্ত্রী পাশে আছেন। সব সমস্যা মিটিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে।” |