অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরানোয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সামনে ফের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল শিল্পোৎপাদন। অন্তত বিশেষজ্ঞদের সেটাই ধারণা। কারণ অপ্রত্যাশিত ভাবেই নভেম্বরে শিল্পোৎপাদন সরাসরি কমলো ০.১%, যখন অক্টোবরে তা বেড়েছিল ৮.৩%। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, চলতি অর্থবর্ষ শেষের মুখে এবং ভোটের ঠিক ১৪ মাস আগে প্রকাশিত এই পরিসংখ্যান আবারও দুশ্চিন্তা বাড়াতে পারে ইউপিএ সরকারের। বিশেষ করে শিল্পোৎপাদন কমলে তা মূল্যবৃদ্ধির উপর চাপ দেবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এতটা হতাশ অবশ্য নন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজন। তাঁর মতে চলতি অর্থবর্ষ শেষে, বা নয়া অর্থবর্ষের গোড়াতেই আলো দেখাবে শিল্পোৎপাদন। তা বাড়বে ৫.৭%। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতায় বলেছিলেন, অর্থবর্ষ শেষে মূল্যবৃদ্ধি কমা নিয়ে তিনি আশাবাদী। আর, সেটা দেখেই সুদ কমানো নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। অর্থনীতিবিদরাও জানিয়েছেন, নভেম্বরে আচমকা শিল্পোৎপাদন সঙ্কোচনের কারণ, ওই মাসেই ছিল অন্যতম বড় উৎসব দেওয়ালি। বন্ধ ছিল বহু কল-কারখানা। যার প্রভাব পড়েছে পরিসংখ্যানে। এ দিকে, ডিসেম্বরে কমেছে রফতানি। তবে তা পড়েছে ১.৯২%, যেখানে নভেম্বরে তা কমেছিল ৪.১৭%।
|
কর সংক্রান্ত বিষয়ে ভোডাফোনের সঙ্গে বৈঠক করতে সংস্থা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব দফতর। চিঠিতে বলা হয়েছে অর্থ সচিব এবং প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি মিটমাট করতে চান। গত সপ্তাহেই সংস্থাকে ১১,২০০ কোটি টাকা কর দেওয়ার জন্য ফের নোটিস পাঠিয়েছিল রাজস্ব দফতর। তবে ভোডাফোনের দাবি, এ বাবদ তারা কেন্দ্রকে কর দিতে বাধ্য নয়। |