|
|
|
|
হোমে অব্যবস্থা দক্ষিণ দিনাজপুরে |
গ্যাংটক ৩, শিলিগুড়িও |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
তাপমাত্রা যেন এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিল সমতল ও পাহাড়কে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি আর সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল একই। ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর বৃহস্পতিবারকে শিলিগুড়ির চলতি মরসুমের শীতলতম দিন। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, গত দু’দশকে শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা এতটা কখনও নামেনি। মেঘমুক্ত আকাশে ঝলমলে রোদ থাকলেও তাই দিনভর কনকনে ঠান্ডার ভাব ছিল শিলিগুড়িতে।
এদিনও জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদহের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান চলাচলও স্বাভাবিক ছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এদিন ৮টি বিমান ওঠানামা করেছে, রোদ থাকলেও বাতাসে হিমেল ভাব থাকায় শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি বা কোচবিহারে কনকনে ভাব ছিল।
শিলিগুড়িতে থাকা কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি ধরা পড়েছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কনকনে উত্তুরে হাওয়ার কারণে দুপুর বেলাতেও টুপি, দস্তানা পড়ে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে শিলিগুড়িতে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার টানেই তুষারাবৃত হিমালয় পর্বত থেকে ঠান্ডা হাওয়া উত্তর ভারত হয়ে উত্তরবঙ্গে ক্রমাগত ঢুকেই চলেছে। সে কারণেই কনকনে শৈত্যপ্রবাহ হয়ে চলছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টাও এমন পরিস্থিতি চলবে। আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তরবঙ্গের আকাশের দিকে এগোচ্ছে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। আগামী শনিবারের মধ্যে সেটি উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, এদিন শিলিগুড়িতে ছিল মরসুমের শীতলতম দিন। উত্তরবঙ্গের অনান্য শহরেও তাপমাত্রা কমই ছিল। রোদ উঠলেও উত্তুরে হাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি ছিল। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও এই পরিস্থিতি তলবে. ফের ঘন কুয়াশারও সম্ভাবনা রয়েছে।”
এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরে ঠান্ডায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পঞ্চায়েত সূত্রে দাবি করা হয়েছে। বুধবার বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী লাগোয়া চকভৃগু এলাকায় ঝুপড়িবাসী এক বৃদ্ধ ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। তাঁর নাম অশোক রায় (৫২)। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম মোহান্ত বলেন, “সকালে প্রচন্ড ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যে বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান। এলাকার গরিব বাসিন্দাদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিলির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি, আরেকটি পঞ্চায়েতের তরফে দাবি করা হয়েছে, বালুরঘাটের ভূষিলা গ্রামে প্রচন্ড ঠান্ডায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম জগদীশ রায় (৬৫)। সকালে শৌচাগার থেকে ফেরার পর তার কাঁপুনি ওঠে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিনই ভোরে গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়। পলান হালদার (৫০) নামে ওই ব্যক্তির ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছে বলে পড়সিদের দাবি। বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মন্ডল বলেন, “ঠান্ডায় জমে নানা অসুস্থতার কারণে মৃত্যুর ঘটনা কি না তা ময়নাতদন্তের আগে বলা যাবে না। তবে শীতের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিংবা ডায়েরিয়ার কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।”
|
দার্জিলিং |
১ ডিগ্রি |
কালিম্পং |
২ ডিগ্রি |
গ্যাংটক |
৩ ডিগ্রি |
শিলিগুড়ি |
৩ ডিগ্রি |
জলপাইগুড়ি |
৪ ডিগ্রি |
কোচবিহার |
৪ ডিগ্রি |
মালদহ |
৭ ডিগ্রি |
|
বালুরঘাটে কুয়াশা। ছবি: অমিত মোহান্ত। |
|
|
|
|
|
|