অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে খড়্গপুর হাসপাতালে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। আগামী দিনে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরিরও আশ্বাস মিলেছে।
হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা নিয়ে বুধবার বিকেলে এক বৈঠক হয়। বৈঠক চলে সন্ধে পর্যন্ত। উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক আর বিমলা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, খড়্গপুর টাউন থানার আইসি অরুণাভ দাস, হাসপাতাল সুপার দেবাশিস পাল। এই বৈঠক সম্পর্কিত রিপোর্ট বৃহস্পতিবারই লিখিত ভাবে স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছেন সুপার। সঙ্গে কিছু আবেদন রাখা হয়েছে। সুপার বলেন, “এ বার থেকে রাতে ৪ জন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। তাঁদের থাকার জন্য ঘর বরাদ্দ হয়েছে।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগী সহায়তা কেন্দ্রের জন্য যে ঘরটি বরাদ্দ হয়েছে, আপাতত সেখানেই পুলিশ কর্মীরা থাকবেন। স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ঘর তৈরির জন্য অর্থ চেয়েও স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি লিখেছেন সুপার। তাঁর কথায়, “জায়গার সমস্যা হবে না। সাধারণত, জরুরি বিভাগের পাশেই পুলিশ ক্যাম্প হয়। খড়্গপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেও পুলিশ ক্যাম্প তৈরির জায়গা রয়েছে।”
অস্ত্রোপচারের জন্য এক রোগীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার নির্দেশ ঘিরে সোমবার রাতে গোলমাল হয়েছিল হাসপাতালে। রোগীর পরিচিতদের হাতে প্রহৃত হন এক চিকিৎসক। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বহি:র্বিভাগে কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অনান্য চিকিৎসকেরা। পরে অবশ্য মহকুমাশাসক এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের আশ্বাসে বহির্বিভাগে কাজ শুরু করেন চিকিৎসকেরা। নিরাপত্তার দাবিতেই বহির্বিভাগে কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন রোগীর পরিবারের লোকজন ও পরিচিতরা। এমন ঘটনার জেরে সমস্যায় পড়েন অনান্য রোগীরা। চিকিৎসা-পরিষেবা ব্যাহত হয়। হাসপাতালে এখন দিনের বেলায় ৫ জন পুলিশ কর্মী থাকেন। রাতে ২ জন পুলিশ কর্মী থাকেন। বুধবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাতে ৪ জন পুলিশ কর্মী থাকবেন। দিনেও আরও বেশি সংখ্যক পুলিশকর্মী থাকবেন। সুপার বলেন, “হাসপাতালে উত্তেজনা তৈরি হলে রোগীরা সমস্যায় পড়েন। হাসপাতাল চত্বরে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।” |