|
|
|
|
ত্রিফলায় ‘দুর্নীতি’ |
তদন্তের ঘোষণা সার, গঠন হয়নি কমিটিও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ত্রিফলা আলো নিয়ে অন্তত পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দিলেও কাজ এগোয়নি। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের খোদ চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের কথাতেই তা স্পষ্ট হয়েছে। শুধু ত্রিফলা নয়, বামেরা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন জোড়াপানি নদীখাত পরিষ্কারের কাজ নিয়েও। অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পদোন্নতি এবং নিয়োগেও। সব ক্ষেত্রেই তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনও কমিটি গড়াই হয়নি।
বৃহস্পতিবার এসজেডিএ-এ চেয়ারম্যান ফের জানান, ত্রিফলা আলো বা জোড়াপানি নদীর কাজের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “ত্রিফলা আলোর ক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে এসজেডিএ যার অধীনে সেই নগোরন্নয়ন দফতরের সাহায্যও চাওয়া হবে।” এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমার জানিয়েছেন, কমিটি গড়ে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “এসজেডিএ’র এক বাস্তুকার থাকবেন। সঙ্গে পূর্ত দফতরের একজন বাস্তুকারকে রাখা হবে। কোনও কিছু এখনও চূড়ান্ত হয়নি।” এ ব্যাপারে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তারাই তদন্ত করবে এটা হয় না কি? লোকদেখানো তদন্তে লাভ নেই। এসজেডিএ যে দফতরের অধীনে তারা তদন্ত করুক। প্রয়োজনে ‘সিএজি’ বা অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক। তা না করে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” অন্য অভিযোগ নিয়ে চেয়ারম্যান জানান, তাঁর আমলে কোনও নতুন নিয়োগ হয়নি। যা হয়েছে বামেদের আমলেই। তাঁদেরই একাংশের পদোন্নতি হলে সেটা স্বজনপোষণ হয় কী ভাবে? বামেদের আমলে পদোন্নতি না পাওয়ায় কর্মী, আধিকারিকদের একাংশও অসন্তুষ্ট ছিলেন। রুদ্রবাবু বলেন, “নিয়োগে অনিয়ম অশোকবাবুরাই করতেন। তাঁর জমানায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মীয় পরিজনদের কাজ দিয়েছেন। সেটা কি স্বজনপোষণ নয়?” জেলা সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকার জানান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে যারা সিটু ছেড়ে তৃণমূলের সংগঠনে যোগ দিয়েছেন তাঁরাই অধিকাংশ সুবিধা পেয়েছেন। সরাসরি তাঁদের জানানো হচ্ছে সিটু করলে সুবিধা পাবেন না। বিষয়টি উদ্বেগজনক। সিটুর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে লাভ হয়নি। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার কাজ ছেড়ে চলে গেলে সেই জায়গায় তাঁরই আত্মীয়কে নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনেই এ ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। |
|
|
|
|
|