পাথরে বাঁধানো স্পার ফের ধসে পড়ল গঙ্গায়। নিমতিতার কামালপুরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হওয়া এই নদী ভাঙনে কপালে হাত পড়েছে পশ্চিমপাড়ার প্রায় ৬০ ঘর বাসিন্দার। নদী পাড় থেকে মাত্র ৭০ মিটার দূরে তাঁদের বাড়ি। একই দূরত্বে রয়েছে একটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশেই একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। ভাঙনের আশঙ্কা থাকলেও সেগুলি এখনও বন্ধ করা হয়নি। প্রায় তিনশো ছাত্র-ছাত্রী পড়ে এখানে।
নিমতিতার পঞ্চায়েত প্রধান ভারতী হালদার বলেন, “সকালে ভাঙন শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় দু’বিঘা জমি ধসে গিয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিডিও’র হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। তবে এখনই স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। এ রকম ভাঙন চললে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হবে।” |
গ্রামেরই শিক্ষক এনামুল কবির সিদ্দিকি বলেন, “কামালপুরে প্রায় বছর ছ’য়েক আগে গঙ্গার স্পার বাঁধানো হয়েছে পাথর দিয়ে। কয়েক দিন থেকেই আমরা খেয়াল করছিলাম প্রায় একশো মিটার এলাকা জুড়ে একটা ফাটল দেখা যাচ্ছে। এই দিন সকালে সেই ফাটল বরাবরই স্পারটি নদীতে ধসে পড়েছে।”
কিন্তু দুপুর পর্যন্ত ভাঙন রোখার ব্যাপারে কোনও সরকারি উদ্যোগ চোখে পড়েনি। নদীর পাড়েই বাড়ি চেহেরা বেওয়ার। তাঁর কথায়, দশ বছর আগে নদীতে আমার ঘর ধসে গিয়েছে। নতুন করে তারপরে কামালপুরে ঘর গড়েছিলাম। সেটাও এখন ভাঙনের মুখে। তাঁর কথায়, “এ বার যদি আবার ঘর ভাঙে, কোথায় গিয়ে দাঁড়াব?” প্রশাসন অবশ্য জানাচ্ছে, ভাঙন প্রতিরোধে সচেষ্ট হয়েছেন তাঁরা। রঘুনাথগঞ্জ ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কামালপুরে ৯০ মিটার এলাকা জুড়ে স্পার ভেঙে পড়েছে। সেচ দফতরের কর্মী ও অফিসারেরা সেখানে গিয়েছেন। আমি নিজেও গিয়েছি। কী ভাবে এই ভাঙন রোধ করা যায়, সে ব্যাপারে সামগ্রিক একটা পরিকল্পনা বরাদ্দ করে রাজ্যের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারের কাছে পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি, দু’এক দিনের মধ্যেই সেখানে কাজ শুরু করা যাবে।” |