লালবাগের ‘সুভাষচন্দ্র সেন্টিনারি কলেজ’-এর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে বৃহস্পতিবার। তাতে দু’পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন বলে দুই ছাত্র সংগঠনের দাবি। তবে আহতদের কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি।
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি, ক্রীড়া সম্পাদক ও শ্রেণি প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট আসন ২৭টি। |
ছাত্র পরিষদের লালবাগ মহকুমা সভপতি সুমন দাসের দাবি, “মাত্র দু’টি আসনে ডিএসও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। আমরা ২৭টি আসনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। অন্য কোনও সংগঠনের পক্ষ থেকে মনোনয়পত্র জমা দেওয়া হয়নি। ফলে ২৭টির মধ্যে ২৫টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরাই জিতছি।” এসএফআই-এর লালবাগ জোনাল কমিটির সম্পাদক তন্ময় ভট্ট বলেন, “আমরা মনোনয়নপত্র তুলে তা জমা দিতেও যাই। কিন্তু ছাত্রপরিষদের গুণ্ডারা আমাদের প্রার্থীদের মারধর করে মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। |
তাই আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি।” অন্য দিকে, ডিএসও-র জেলা সভাপতি ওহিরুজ্জামান বলেন, “ছাত্রপরিষদের গুণ্ডামির কারণে আমরা ২টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছি। বাকিদের মনোনয়নপত্র ছাত্রপরিষদের গুণ্ডারা কেড়ে নিয়েছে।” ছাত্র পরিষদের লালবাগ মহকুমা সভাপতি সুমন দাসের দাবি, “এত দিন ছাত্রসংসদ ছিল এস এফ আই পরিচালিত বামমোর্চার দখলে। ফলে তাদের ছাত্রস্বার্থ বিরোধী ভূমিকার কারণে ছাত্রছাত্রীরা এখন বামমোর্চার উপর বিরূপ। এ কারণে তারা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি।” এসডিও চিরঞ্জীব ঘোষ বলেন, “ওই কলেজে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এসডিপিও এবং ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের একজন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” |