|
|
|
|
ডিওয়াইএফের পদযাত্রা পৌঁছল পূর্বে |
মেচেদায় সভায় তৃণমূলের হামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ডিওয়াইএফ-এর পদযাত্রা পূর্ব মেদিনীপুরে পৌঁছনোর আগেই গণ্ডগোল বাধল। মেচেদায় ডিওয়াইএফ-এর পথসভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মেচেদার বিদ্যাসাগর মোড়ে ডিওয়াইএফ-এর স্থানীয় নেতৃত্ব একটি পথসভা করছিলেন। সেই সময় একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ওই সভায় হামলা চালান বলে অভিযোগ। ফেস্টুন ছিঁড়ে, রিকশায় বাঁধা মাইক রাস্তায় আছড়ে ফেলে দেন তৃণমূলের লোকেরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেচেদায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। ততক্ষণে প্রায় দু’শো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সেখানে জড়ো হয়ে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি ও ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিছিল শুরু করে দিয়েছেন। মিছিলটি মেচেদা বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলে যায় যখন, তখনই কলকাতা থেকে আসা ডিওয়াইএফ-এর পদযাত্রাটি বিদ্যাসাগর মোড়ে এসে পৌঁছয়। দু’টি মিছিল মুখোমুখি না-হওয়ায় বড় কোনও গণ্ডগোল আর হয়নি। প্রচুর পুলিশও ছিল এলাকায়। |
|
সিপিএমের যুব সংগঠনের পদযাত্রা তখন মেচেদায়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
মেচেদার ডিওয়াইএফ নেতা শ্যামল সী’র অভিযোগ, “একদল তৃণমূল সমর্থক হামলা চালিয়ে সভা বানচালের চেষ্টা করে।” অভিযোগ অস্বীকার করে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিভাস কর বলেন, “সিপিএম সাধারণ মানুষের সমর্থন না-পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে নজর কাড়তে চাইছে।” ‘শিল্প বাঁচাও হলদিয়া বাঁচাও’ ডাক দিয়ে কলকাতা থেকে হলদিয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করছে ডিওয়াইএফ। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উপনগরী থেকে পদযাত্রা দেউলিয়া যায়। এরপর ফিরে এসে মেচেদার বিদ্যাসাগর মোড় হয়ে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক ধরে কাঁকটিয়া বাজার, ডিমারি বাজার, রাধাবল্লভপুর হয়ে সন্ধ্যায় তমলুক শহরের মানিকতলায় এসে পৌঁছয় পদযাত্রাটি। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ডিওয়াইএফ-এর প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক তাপস সিংহ, রাজ্য সম্পাদক জামির মোল্লা, রাজ্য সভাপতি আভাস রায়চৌধুরী প্রমুখ। ১৫০ জন ডিওয়াইএফ কর্মী পদযাত্রায় যোগ দিয়েছেন।
এ দিন বিকেলে ডিমারি বাজারে পদযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় ডিওয়াইএফের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক তাপস সিংহ বলেন, “হলদিয়ায় পেট্রোকেমিক্যাল, বক্রেশ্বরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির দাবিতে ১৯৮৫ সালে আমরা পদযাত্রা করেছিলাম। অনেক চেষ্টার পর বামফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল, বক্রেশ্বরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন হলদিয়ায় শিল্পের পরিবেশ নষ্ট করছে তৃণমূল। ফলে হলদিয়া থেকে শিল্পপতিরা চলে যাচ্ছেন। এই রাজ্যেই আর শিল্প করতে চাইছে না শিল্পপতিরা।” তাপসবাবু আরও বলেন, “টাটার গাড়ি কারখানা গড়তে গুজরাতের সানন্দ পারল। কিন্তু নন্দীগ্রাম, খেজুরি, সিঙ্গুর পারল না। এর জন্য দায়ী তৃণমূল। হলদিয়-সহ এই রাজ্যে শিল্প বাঁচাতে আমাদের লড়াই চলবে।” |
|
|
|
|
|