টেস্ট সিরিজ জয় অতীত। এ বার চোখ রাখার পালা ভারত-ইংল্যান্ড একদিনের সিরিজে। যার সূচনা আজ রাজকোটে। বিগত এক-দেড় মাসে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের কাছে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি ধোনির ভারত। তাই একদিনের সিরিজ শুরুর আগে অনেকেই এই লড়াইতে ভারতকে পিছিয়ে রাখছেন। যদিও আমি এই দলে পড়তে নারাজ। আমার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, একদিনের সিরিজে ভারত এগিয়ে ৬০-৪০। জানি, সবাই অবাক হচ্ছেন। আমি হচ্ছি না। কেন? এক) উপমহাদেশের বাইশ গজে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের ধারবাহিকতার অভাব মাঝে মাঝেই প্রকট হয়ে পড়া। দুই) ইংল্যান্ডের এই দল এখনও ততটা পরিণত না হওয়ায় অভিজ্ঞতার দিক থেকে ধোনির দলের চেয়ে পিছিয়েই।
মাঝখানে আর দুটো বছর। তার পরেই অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে বসবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড দলটাকে তাই তৈরি করে নেওয়ার সময় পাচ্ছেন ইংল্যান্ড নির্বাচকরা। একই কথা প্রযোজ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকমণ্ডলীর ক্ষেত্রেও। তাই ভবিষ্যতের দল গড়তে এই সিরিজ দু’দেশের নির্বাচকদের কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। যদি সেটা না করে বিশেষ কোনও সিরিজকে পাখির চোখ করা হয় তা হলে কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশকেই আগামী দিনে সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। সঙ্গে এটাও ভুললে চলবে না যে, উপমহাদেশের ক্রিকেট পরিবেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের তফাত অনেকটাই।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের জন্য এ বার আমার একটা পরামর্শ আছে। দলে রদবদলের পাশাপাশি বোলিং বৈচিত্র বাড়ানোর কথাটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবুন। এই বৈচিত্র তো রাতারাতি আসবে না। তার জন্য দরকার ভারতের মাটিতে পেস সহায়ক কয়েকটি পিচ তৈরি করা। মানছি, চটজলদি সাফল্য আসবে না। দু’বছর সময়টাও কিন্তু কম নয়। ২০১৫-তে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে আপনাদের দেশ কিন্তু নামবে গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে। সেই সুবাদে একটা মর্যাদারক্ষার দায় থাকবেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপর। আপনাদের রবীন্দ্র জাডেজা ছেলেটা কিন্তু দুর্দান্ত। ওকে নিয়মিত স্পিনার হিসাবে ব্যবহার করে একটা পরীক্ষা করা যেতেই পারে। ছেলেটার ব্যাটের হাতও বেশ ভাল। বোলিং উৎকর্ষ বেড়ে গেলে এই ছেলেটাই কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একটা মূল্যবান সম্পদ হতে পারে। কিন্তু জাহির খানের জায়গা কে নেবে? এটা একটা বড় প্রশ্ন। আর ভারতের নবীন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আমার চোখ থাকবে অজিঙ্ক রাহানের ওপর। |