ফের সীমিত ওভারের ক্রিকেট যুদ্ধ। পাকিস্তানের পর এ বার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, যাদের কাছে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারতে হয়েছে ২৮ বছর পর। এই ইংল্যান্ড দলটা অবশ্য আলাদা। এই দলে না আছে গ্রেম সোয়ান, না মন্টি পানেসর। মাঠগুলোও তো আর এক নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেমন উইকেটে খেলা হয়েছিল, তার চেয়ে কিছুটা আলাদা ধরনের উইকেট থাকবে এই সিরিজে। তাই ২২ গজের যুদ্ধটাও অন্য রকমেরই হবে।
ফিরোজ শাহ কোটলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ভাবে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত, তাতে নিশ্চয়ই ওদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। সেই বাড়তি আত্মবিশ্বাসটুকু সঙ্গে নিয়েই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ধোনির দল। মানসিক ভাবে ইংল্যান্ডের থেকে কিছুটা এগিয়ে থেকেই সিরিজটা খেলতে নামছে ভারত। |
তবে এটা মানতেই হবে যে, ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ তাদের সেরা ফর্মে নেই। এই সিরিজে তাই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের বড় পরীক্ষা। রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে চেতেশ্বর পূজারা যে অসাধারণ ইনিংসটা খেলল, তার পর ওকে ভারতীয় দলে খেলতে না দেখলে অবাকই হব। কোহলির জায়গায় ওকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে কোহলিকে ইনিংস ওপেন করতে হবে। অথবা উল্টোটাও হতে পারে। পূজারাও ওপেন করতে পারে। শুনলাম, ধোনি পূজারাকে খেলানোর ব্যাপারে নিজেই বেশ ধন্দে রয়েছে। ধন্দটা তাড়াতাড়ি মিটিয়ে নেওয়াই ভাল। কারণ, ব্যাটিং অর্ডারের এই অংশটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চার থেকে সাত নম্বর জায়গাগুলো তো ঠিকই আছে। সাত নম্বরে জাডেজাকে খেলানোই ভাল। ও দলে থাকা মানে পঞ্চম বোলারের জায়গায় একজন নিয়মিত বোলারকে পাওয়া যায়। ফিল্ডিংটাও দিব্যি করছে ও।
ভুবনেশ্বর কুমার বল বেশ ভাল সুইং করাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজে ও নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পারবে, সেটাই দেখার। কারণ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে কলকাতা, চেন্নাইয়ে যেরকম উইকেট ও পরিবেশ ছিল, রাজকোট, কোচি, রাঁচিতে কিন্তু তেমন থাকবে না। এ সব জায়গার উইকেটে ব্যাটসম্যানরাই বেশি খুশি হয়, বোলাররা নয়। ভারতীয় দলের যে ব্যাটসম্যানরা ভাল ফর্মে নেই, তারা নিশ্চয়ই এই ধরনের উইকেটে ব্যাট করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। টেস্ট সিরিজে যে দল নিয়ে এসেছিল ইংল্যান্ড, তাদের অনেককে এ বার নিয়ে আসেনি ইংল্যান্ড। সোয়ান, পানেসরদের অনুপস্থিতিতে ওদের তরুণ বোলিং বিভাগ কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বে। টস খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে না এই সিরিজে। কারণ, যে সব জায়গায় খেলা হচ্ছে, সেখানে ব্যাটসম্যানরাই সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। যে দলের ব্যাটসম্যানরা ভাল খেলবে, সেই দলের সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এই সিরিজে ইংল্যান্ডের স্পিন আক্রমণ ততটা ধারালো নয়। তাই আমার ধারণা, ভারতই সিরিজ ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে। |