নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবোঝাই একটি বাস নয়ানজুলিতে উল্টে যাওয়ায় মৃত্যু হল এক মহিলার। আহত হন অন্তত ৩০ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের আঘাত গুরুতর। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে হরিপালের গোপীনাথপুর পঞ্চায়েতের হাজরা মোড়ের কাছে অহল্যাবাঈ রোডে। মৃতার নাম মুসলিমা বেগম (৪২)। বাড়ি আরামবাগের কেশবনগর কালীতলায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি বাসটি গোঘাটের বদনগঞ্জ থেকে কলকাতায় যাচ্ছিল। মহিলা ও শিশু-সহ বাসটিতে প্রায় ৬৫ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে বিপদ বুঝে চালক এবং খালাসি বাস থেকে নেমে পালান। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে হরিপাল থানার ওসি বঙ্কিম বিশ্বাস বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। |
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে তোলা হচ্ছে। ছবি: দীপঙ্কর দে |
আহতদের উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মুসলিমাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। যাঁদের আঘাত বেশি তাঁদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া, চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল এবং শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কয়েক জনকে কলকাতার হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি জোরে চলছিল। নয়ানজুলিতে পড়ে বাসের ডান দিক তুবড়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের অনুমান, বাসের যন্ত্রাংশ কোনও ভাবে খারাপ হয়ে ওই ঘটনা ঘটতে পারে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, দুর্ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাসচালক এবং খালাসির খোঁজ চলছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকার অহল্যাবাঈ রোড বেহাল। নিয়মিত দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। এ দিনও ঘটনার পিছনে ভাঙাচোরা রাস্তাই দায়ী বলে মনে করছেন তাঁরা। দিন কয়েক আগেই ঘটনাস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরে ইলিপুরে রাস্তার ধারে একটি যাত্রীবোঝাই বাস উল্টে অনেকে জখম হন। কন্ডাক্টরের একটি পা কাটা যায়। |