|
|
|
|
ধর্ষণ মামলা |
গাফিলতি নিয়ে হাইকোর্টে ক্ষমা চাইল দিল্লি পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দিল্লি গণধর্ষণ-কাণ্ডে আংশিক স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়ায় গত কালই কড়া বার্তা দিয়েছিল হাইকোর্ট। আজ তাই নতুন স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল দিল্লি পুলিশ। তবে তার আগে নিজেদের গাফিলতির জন্য কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দিল্লি পুলিশের আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণন। পুরনো রিপোর্টে ১৬ ডিসেম্বর রাতে গাফিলতিতে অভিযুক্ত সব টহলদার পুলিশ অফিসারের নাম না থাকায় প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে যে পুলিশ গাফিলতি করেছে, তা মেনে নিয়েছেন কৃষ্ণন।
হাইকোর্ট জানতে চায়, বাসের জানালায় কালো কাঁচ লাগানো বেআইনি। তাহলে ওই বেসরকারি বাসটি জানলায় কালো কাঁচ লাগিয়েও কী ভাবে একাধিক পুলিশ চেক পয়েন্টের নজর এড়িয়ে গেল। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডি মুরুগেশন এবং বিচারপতি ভি কে জৈনের বেঞ্চ জানতে চায়, কেন পুলিশ প্রশাসন সে দিন ওই চেক পয়েন্টগুলির দায়িত্বে থাকা অফিসারদের বাঁচাতে চাইছে। কারণ, ঘটনার পরে মাত্র এক জন নিম্নপদস্থ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু পুলিশ কমিশনার-সহ বাকি উচ্চপদস্থ অফিসারদের উপর গাফিলতির দায় বর্তালো না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এ দিন আরও এক বার বেঞ্চ জানায়, অভিযুক্ত কোনও অফিসারই যাতে নিজের দায় এড়াতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই তাঁদের নাম জানতে চাওয়া হচ্ছে। কোর্টের মতে, পুলিশ টহলদারি গাড়ির দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করতে হবে।
গণধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে এ দিন তিহাড় জেল থেকে দক্ষিণ দিল্লির আদালতে নিয়ে আসা হয়। আইনজীবী এম এল শর্মা জানান, রাম সিংহ, মুকেশ এবং অক্ষয় ঠাকুর এই তিন জনের হয়ে সওয়াল করবেন তিনি। সোমবারই প্রাক-বিচার শুনানির সময় অভিযুক্তদের হয়ে লড়ার কথা বলেছিলেন তিনি। বাকি অভিযুক্তদের জন্য আইনজীবী স্থির করা হয়েছে।
ধর্ষণ-সংক্রান্ত আইন বদলের কথা বিবেচনার কাজ শুরু করেছে জে এস বর্মা কমিটি। কমিটির কাছে নিজেদের মত পাঠিয়েছে ত্রিপুরার বাম সরকার। ত্রিপুরা সরকারের মতে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিত। |
|
|
|
|
|