|
|
|
|
পোস্টারে মেয়েদের উপদেশ পুলিশের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পড়াশোনার পরে স্কুল-কলেজ থেকে মেয়েদের সোজা বাড়ি যেতে বলল দিল্লি পুলিশ। তা ছাড়াও মহিলাদের ব্যাগে ঠিকানা-ফোন নম্বর লেখা কাগজ নিয়ে ঘোরা উচিত বলে পোস্টারে উপদেশ দিয়েছে তারা।
শহর জুড়ে এমন পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি নিরাপত্তার দায় মেয়েদের ঘাড়ে চাপিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে চেয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের সদর দফতর অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, তারা কাউকে এমন পোস্টার লাগানোর অনুমতি দেয়নি।
আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে লাগানো পোস্টারে মেয়েদের প্রতি নানা উপদেশ দেখা গিয়েছে। পোস্টারের বক্তব্য, পড়াশোনা শেষ হলে মেয়েদের সোজা বাড়ি যাওয়াই ভালো। অন্য কোথাও গেলে বাড়িতে জানানো উচিত। ব্যাগের মধ্যে নাম-ঠিকানা লেখা কাগজ রাখা উচিত। শিক্ষকদের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়া উচিত নয়।
পোস্টারের আরও উপদেশ, কোনও অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে মেয়েদের কথা বলা চলবে না। অপরিচিতের গাড়িতে ওঠা তো একদমই উচিত নয়। তাদের কারও কাছ থেকে খাবার, ঠান্ডা পানীয় ও উপহার নেওয়াও চলবে না।
কিন্তু রাজধানীর অনেকেরই বক্তব্য, এই পোস্টারের মাধ্যমে নিজেদের ব্যর্থতার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। মেয়েদের নিরাপত্তার দায়িত্বও চাপিয়ে দিতে চেয়েছে তাঁদেরই ঘাড়ে। বিজেপি মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন বলেছেন, “এই পোস্টারে শুধু আতঙ্কই বাড়বে।” তবে কারও কারও আবার বক্তব্য, পুলিশের নজরদারির পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও যে সতর্ক থাকা দরকার, পোস্টার সে কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে দিল্লি পুলিশের সদর কাউকে পোস্টার লাগানোর নির্দেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করায় জল আরও ঘোলা হয়েছে। কারা এই পোস্টার লাগালো সেই বিষয়ে পুলিশ কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। |
|
|
|
|
|