শেষ মুহূর্তে দেশকেই স্মরণ করেন সুধাকর
তেরঙায় মোড়া কফিনটা গাড়ি থেকে কাঁধে করে নিয়ে এলেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। নামিয়ে রাখলেন বাড়ির উঠোনে। আজ ঘরে ফিরলেন ঘরের ছেলে। শহিদ ল্যান্স নায়েক সুধাকর সিংহ।
বছর তিরিশের সুধাকরের দেহ নিয়ে সেনাবাহিনী মধ্যপ্রদেশের সিদহি জেলার ধাদিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে ঢুকতেই ভেঙে পড়েন শহিদের বাবা সচিদানন্দ সিংহ। সেনা জওয়ান সন্দীপ সিংহ তখন শোনাচ্ছিলেন সুধাকরের মৃত্যু মুহূর্তের কথা। জানান, পাক সেনার গুলিতে লুটিয়ে পড়ার আগে তাঁর শেষ কথা ছিল “ভারতমাতা কী জয়।”
ল্যান্স নায়েক সন্দীপ সিংহও শোনাচ্ছিলেন সুধাকরের সাহসিকতার কথা। তিনি জানান, যে কোনও বিপদে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়তেন সুধাকর। গোটা দলকে উদ্বুদ্ধ করতেন।

গ্রামের বাড়িতে বিদায় সুধাকর সিংহকে। হাজির মধ্যপ্রদেশের
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। বৃহস্পতিবাক। ছবি: এপি
মঙ্গলবারও পাক সেনারা যখন আক্রমণ করেছিল, মোকাবিলা করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন সুধাকরই। মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে ল্যান্স নায়েক সুধাকর সিংহ এবং হেমরাজ সিংহকে হত্যা করে পাক সেনা। উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার শেরনগর গ্রামের ছেলে বছর বত্রিশের হেমরাজের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে গত কাল।
এই গ্রাম থেকেই ১৫ জন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। এই তথ্য দিয়ে হেমরাজের কাকা লেখরাজ সিংহ জানান, এই বীর সন্তানদের জন্য গোটা গ্রাম গর্বিত। লেখরাজও সেনাবাহিনীর হাবিলদার ছিলেন। বললেন, “আগরা থেকে দুই জওয়ান এসে খবর দেন, আমার ভাইপো দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। এই খবরে যেমন দুঃখ পেয়েছি, তেমনি গর্ব অনুভব করেছি।”
সুধাকরের মৃত্যুসংবাদ বাড়িতে এসেছিল মঙ্গলবারই। এ দিন সেনার পোশাক পরা, রাইফেল হাতে ছেলের ছবি কোলে নিয়ে চেয়ারে বসে স্মৃতি ঘাঁটছিলেন বাবা। সুধাকর গত অক্টোবরে লিখেছিলেন, “শীঘ্রই বাড়ি ফিরব।” কিন্তু তাঁর এ ভাবে ফেরা কেউই চায়নি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.