|
|
|
|
রেলের ভাড়া কমবে না, স্পষ্ট জানালেন মন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বর্ধিত রেল ভাড়া প্রত্যাহার নিয়ে বিরোধী শিবিরের দাবি আজ খারিজ করে দিলেন রেলমন্ত্রী পবন বনশল। আজ তিনি জানিয়ে দেন, রেলের আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে আসন্ন বাজেটে বা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভাড়া বাড়বে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রায় ১০ বছর পরে রেলমন্ত্রী গত কাল যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা করার পরেই বিরোধী শিবির থেকে তা প্রত্যাহারের দাবি ওঠে। তৃণমূল ও বিজেপি এ ভাবে সংসদকে এড়িয়ে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়। বিজেপি নেতা রাজনাথ সিংহ কালই বলেছিলেন, বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করুক কেন্দ্র। তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ও এই ভাড়া বৃদ্ধির বিরোধিতা করার পাশাপাশি সংসদকে এড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধির সমালোচনা করেন। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানায় বামেরাও।
বিরোধীরা রেলভাড়া নিয়ে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটার হুমকি দিলেও বনশল আজ বলেন, “রেলকে বাঁচাতে গেলে এই ভাড়া বৃদ্ধি মেনে নিতেই হবে। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। তবে এ টুকু আশ্বাস দিতে পারি, আসন্ন বাজেটে বা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।”
ভবিষ্যতে ডিজেলের দাম বাড়লে সেই অনুপাতে যাত্রী ভাড়া যাতে বাড়ানো যায়, সে জন্য একটি স্বাধীন ‘ট্র্যাফিক রেগুলারিটি অথরিটি’ গড়ার কথা গত বাজেটেই ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এ বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ওই সংস্থা গড়ার কথা ঘোষণাও করেছিলেন। বনশল এ দিন বলেন, “বাজেটের আগে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ওই অথিরিটি গঠন করে ফেলা সম্ভব হয়।”
এ বছরের বাজেটে রেল পুলিশের সার্বিক উন্নতির জন্য একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ভাবছে মন্ত্রক। বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে। মন্ত্রক জানিয়েছে, রেল পুলিশের আবাসন ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মানের উন্নতির পাশাপাশি তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছেন, রেল পুলিশের অস্ত্রভাণ্ডারগুলি মোটেই সুরক্ষিত নয়। বিশেষ করে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ওই সব অস্ত্রভাণ্ডার লুঠ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাই অধীরবাবু চাইছেন, মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে রেল পুলিশের অস্ত্র রাখার জন্য ব্যবস্থা করতে।
আসন্ন বাজেটে পর্যটন শিল্পকে উৎসাহ দিতে দার্জিলিং ও উত্তরবঙ্গের জন্য বিশেষ ট্রেন ঘোষণা করার কথাও ভাবছেন। কলকাতার নিত্যযাত্রীরা লোকাল ট্রেন ও মেট্রোয় কেবল মাত্র একটি টিকিটের মাধ্যমে সফর করতে পারেন কি না, সেটিও রেল মন্ত্রককে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন অধীরবাবু। |
|
|
|
|
|