|
|
|
|
বিমানবন্দর |
কাজ বাকি, তবু এ মাসে উদ্বোধন নয়া টার্মিনালের |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ফের পিছোলো কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল চালু হওয়ার কাজ। শেষ বার বলা হয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়াতেই চালু হয়ে যাবে নতুন টার্মিনাল। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে আরও দু’মাস টার্মিনাল চালুর সময়সীমা পিছিয়ে গেল। যদিও রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এসে ধুমধাম করে আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন টার্মিনালের উদ্বোধন করা হচ্ছে। কিন্তু টার্মিনালের ভিতরে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ায়, এপ্রিল-মে মাসের আগে তা চালু করা যাবে না বলেই সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ তথা এয়ারপোর্ট ফেসিলিটেশন কমিটির চেয়ারম্যান সৌগত রায় অবশ্য জানিয়েছেন, মার্চের শেষেই টার্মিনালটি চালু হবে। পরিকাঠামো তৈরি হয়নি বলেই কি টার্মিনাল চালুর দিন আরও পিছিয়ে গেল? সৌগতবাবুকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি তার কোনও স্পষ্ট উত্তর দেননি। তবে কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মার যুক্তি, যে কোনও নতুন টার্মিনালে ধাপে ধাপেই এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলির পরিষেবা চালু হয়। এ বিষয়ে তাঁরা সব রকম প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছেন। ঠিক কবে কলকাতার নতুন টার্মিনালটি যাত্রীদের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে এর আগে বহু বার কর্তৃপক্ষের তরফে নির্দিষ্ট করে দিনক্ষণ জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানের নতুন এই টার্মিনালটি আয়তনে বেশ বড় এবং সেখানে এরোব্রিজ, লিফ্ট, এসক্যালেটর, ওয়াকালেটারের সংখ্যাও অনেক বেশি। যেগুলির অনেক কাজই এখনও বাকি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও সিইএসসি-কে জানিয়েছেন, নতুন টার্মিনালের জন্য এখন তাদের পাঁচ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ হলেই চলবে। মাস দু’তিন পরে তারা আরও পাঁচ মেগাওয়াট করে মোট দশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে।
আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন এই টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। বিমান মন্ত্রক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। নয়া টার্মিনাল সংরক্ষণ ও সাফাইয়ের কাজ বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর ওই কাজের জন্য বিমাবন্দরের নিজস্ব যে গ্রুপ-ডি কর্মী রয়েছেন, তাঁদের অন্য কাজে লাগানো হবে। যাত্রী পরিষেবা উন্নত করতে মাঝরাত পর্যন্ত টার্মিনাল থেকে ভলভো বাস পরিষেবা চালু রাখা হবে বলে সৌগতবাবু জানান।
শর্মা বলেন, ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে নতুন টার্মিনালটি থেকে দু-একটি উড়ান চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তার জন্য বিভিন্ন বিমান সংস্থাকেও অনুরোধ করা হয়েছে। তবে ন্যূনতম পরিকাঠামোর মধ্যে নতুন টার্মিনাল থেকে নিয়মিত উড়ান চালানোয় বিমান সংস্থাগুলির আপত্তি রয়েছে। কয়েকটি সংস্থা বলছে, “একই সঙ্গে বর্তমান ও নতুন টার্মিনাল থেকে উড়ান চালানোর মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই। তাতে আরও কর্মী লাগবে। আবার দুই টার্মিনালের ভাড়াও গুনতে হবে।” |
|
|
|
|
|