অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরাতে বাজেটের আগেই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার নেওয়া এই সব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, পূর্ব ঘোষণা মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ১০টি ব্যাঙ্ককে ১২,৫১৭ কোটি টাকার মূলধন জোগানোয় অনুমোদন। লক্ষ্য, এক দিকে ব্যাঙ্কগুলিকে বাড়তি ঋণ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া,
|
পি চিদম্বরম।
ছবি: পিটিআই |
অন্য দিকে যথেষ্ট মূলধন হাতে রাখা বা ক্যাপিটাল অ্যাডি -কোয়েসি সংক্রান্ত শর্ত পূরণ করা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম মন্ত্রিসভার অন্য যে-সব প্রস্তাবে সায় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে:
• বাজারে শেয়ার ছেড়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া-র ১০% বিলগ্নিকরণ
• দরিদ্রদের জন্য গ্রামীণ আবাসন নির্মাণ খাতে বাড়তি বরাদ্দ
• ঝরিয়া ও রানিগঞ্জের খনি সংলগ্ন এলাকায় পুনর্বাসনে বাড়তি জমি
শিল্প এবং সাধারণ মানুষকে ঋণ খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি যাতে বাড়তি বাড়তি অর্থ জোগাতে পারে, তার জন্যই এই অর্থের সংস্থান করল মন্ত্রিসভা। আগামী তিন মাস ধরে ওই অর্থ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ২০১৮-’১৯-র মধ্যে ব্যাঙ্কগুলি যাতে মূলধন বজায় রাখার ব্যাপারে বাসেল-৩ বিধির শর্ত পূরণ করতে পারে, তার জন্যও ওই অর্থ দেওয়া হবে।
কম খরচে দরিদ্রদের জন্য বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে সহায়তার অঙ্ক ৪৫,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৭০,০০০ টাকা। বাড়ি তৈরির জন্য জমি কিনতে ৪% সুদে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। এত দিন তা ছিল ১০ হাজার টাকা।
ঝরিয়া এবং রানিগঞ্জের বিভিন্ন খনি এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ও ভূমি ধসে গৃহহারাদের জন্য নতুন বাড়ি তৈরিতে বাড়তি জমি বরাদ্দের বিষয়টিতেও সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। |