অবশেষে শিকে ছিঁড়তে চলেছে।
রফায় রাজি রাজ্য সরকার। পুরনো দরেই রাজারহাটে জমি পেতে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা আইটিসি ইনফোটেক। গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবটিতে সবুজ সঙ্কেত মেলায় আগামী মাসেই জমি হাতে পাচ্ছে সংস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, একর প্রতি পুরনো দর নেওয়া হলেও ‘কস্ট অফ ক্যাপিটাল’ বা মূলধন জোগাড়ের খরচ হিসেবে বাড়তি কিছু টাকা দামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। তার পরিমাণ নির্ধারণ করবে অর্থ দফতর।
রাজারহাটে সংস্থার জন্য ১৫ একর জমি আগেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। ইনফোসিস ও উইপ্রোর জমি দু’টির মধ্যে রয়েছে ৩৭ একর জমি। সেখানেই আই টি সি ইনফোটেককে জমি দেওয়া হবে বলে স্থির হয়। কিন্তু বর্তমান বাজার দরে জমি নিতে চায়নি সংস্থা। ইনফোসিস ও উইপ্রোকে একরে দেড় কোটি টাকা দরে জমি দেওয়া হয়েছে বলে সেই এক দরে জমি চায় আই টি সি ইনফোটেক। তবে বাজার দরের হিসেবে সেই দাম এখন বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ আর্থিক অঞ্চল বা সেজ বিতর্কে আটকে রয়েছে ইনফোসিস, উইপ্রোর প্রকল্প। এই পরিস্থিতিতে আই টি সি ইনফোটেক-এর লগ্নি টানতে মরিয়া তথ্যপ্রযুক্তি দফতর সমাধানসূত্র খুঁজতে রাজ্য মন্ত্রিসভার দ্বারস্থ হয়েছিল।
গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন আই টি সি কর্তা যোগী দেবেশ্বর। জমি নিয়ে কথা না-বললেও তিনি জানান, রাজ্যে নির্দিষ্ট পথেই এগোচ্ছে বিনিয়োগ পরিকল্পনা। আগামী ৩-৪ বছরে এ রাজ্যে ৩০০০ কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতিও দেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে এই শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই রাজারহাটে জমির দর নিয়ে আপসে নারাজ নয় সরকার।
উইপ্রো ও ইনফোসিসের মতো আই টি সি ইনফোটেক বিগত সরকারের আমলেই রাজ্যে ক্যাম্পাস তৈরির জন্য ২৫ একর জমি চেয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৫ একর জমি দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু চড়া দামের কারণে পিছিয়ে যায় সংস্থা। জমির দাম ধরা হয়েছিল একর প্রতি ২.১৬ কোটি টাকা। এর পরে এখানে বিনিয়োগ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি তারা। পরে ইনফোসিস ও উইপ্রোকে একর প্রতি দেড় কোটি টাকা দরে জমি দেওয়া হলেও আই টি সি ইনফোটেক-এর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। |