পাথর ভাঙা যন্ত্রের ফিতেয় গামছা জড়িয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি থানার বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চলে। মৃতের নাম নাজমুল শেখ (১৬)। বাড়ি ওই থানার খাঁপুর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নাজমুলকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায়। এ দিকে, পাথর শিল্পাঞ্চলে শিশু শ্রমিকের কাজ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সহ-সভাপতি অরুণ গুপ্ত শিশু শ্রমিক কাজ করার বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর জন্য মৌখিক ভাবে জানান নলহাটি ১ ব্লকের ন্যূনতম মজুরি পরিদর্শককে। পরিদর্শক ধনঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “পাথরশিল্পে কত জন শিশু শ্রমিক কাজ করে সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। কারণ, বেশিরভাগ শ্রমিকই অস্থায়ী। তবে আমরা পরিদর্শনে গেলে অল্পবয়সীদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।” রামপুরহাট মহকুমার সহকারি শ্রম কমিশনার অসিত বরণ রায় বলেন, “এ ধরনের ঘটনা বাঞ্চনীয় নয়। শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের একটি আলোচনা শিবিরে শিশু শ্রমিকদের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে।”
অন্য দিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য শোনা যাচ্ছে পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কাছ থেকে। একটি সংগঠনের আনন্দ যাদব বলেন, “শ্রমিক সংগঠনগুলি কেন দায়িত্ব নিয়ে দেখে না, কোথায় শিশু শ্রমিক কাজ করছে। কারণ, ওরাই তো শিশুদের কাজে পাঠাচ্ছে।” অন্য একটি মালিক সংগঠনের পরেশ দত্ত দাবি করেন, “পুরনো পাথর ভাঙা কলে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সকলেই স্থায়ী শ্রমিক। নতুন কারখানায় অস্থায়ী শ্রমিক কাজ করেন। এ ক্ষেত্রে মালিকদেরও সতর্ক হওয়া উচিত।”
মালিক পক্ষ সতর্ক আছে বলে দাবি করেছেন আর একটি সংগঠনের পিন্টু সিংহ। দায় এড়িয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলির কেউ ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আন্দোলন করা হবে, কেউ আবার জানা নেই খোঁজ নেওয়া হবে, কাজের প্রয়োজনে অনেক পরিবারের লোকেরা অল্পবয়সীদের কাজে পাঠায় বলে মন্তব্য করেছে। |