নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মৌনী মিছিলে পা মিলিয়েছিল স্কুলছাত্রীরা। সেই মিছিলেই ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠল তিন অজ্ঞাতপরিচয় মোটরবাইক আরোহী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল বীরভূমের জেলা সদর সিউড়ি। যেখানে মাত্র তিন দিন আগেই দিনেদুপুরে বাবার সামনে এক যুবতীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল তিন যুবক।
স্কুলের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ না হওয়ায় ঘটনা ঘিরে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “লিখিত অভিযোগ না পেলেও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কিছু ঘটে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ দিন ১২৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল সিউড়ির আরটি গার্লস হাইস্কুলের। নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির গণধর্ষণ-কাণ্ড-সহ দেশজুড়ে মেয়েদের উপর অত্যাচার বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানাতে প্রধান শিক্ষিকাকে অনুষ্ঠান
না করে মৌনী মিছিল করার প্রস্তাব দেয় স্কুলের ছাত্রীরাই। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১২টা নাগাদ প্রায় দেড় হাজার ছাত্রীকে নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়।
ছিলেন শিক্ষিকারাও। প্রধান শিক্ষিকা মৌ দাশগুপ্তের অভিযোগ, “মিছিল তখন শহরের ইন্দিরা চকের (মসজিদ মোড়) দিকে যাচ্ছিল। ওই রাস্তার মাঝপথে গলি থেকে একটা মোটরবাইকে চেপে তিন যুবক মিছিলের পাশে চলতে শুরু করে। তারা ইচ্ছা করে মোটরবাইকের গতি কমিয়ে ছাত্রীদের উদ্দেশে অশ্লীল কথা বলতে শুরু করে।”
মিছিলে থাকা একাধিক ছাত্রীর কথায়, “যে ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে মিছিল করলাম, সেখানেই এমন ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা ও দিদিমণিরা ওই যুবকদের ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মোটরবাইকের গতি বাড়িয়ে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়।”
প্রধান শিক্ষিকার আরও অভিযোগ, “ওই তিন জন ইচ্ছাকৃত ভাবে একাদশ শ্রেণির একটি মেয়েকে ধাক্কা মেরে পালায়। আমরা পুলিশকে ফোন করে ঘটনার কথা জানিয়েছি।”
পুলিশের দাবি, ওই মিছিলের নিরাপত্তায় সিউড়ি থানার একটি টহলদারি গাড়ি ছিল। তার পরেও এমন ঘটনা কী করে ঘটল বা আদৌ ঘটেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। |