‘পুলিশ’ বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে নিয়মিত তোলা তুলে বেড়াচ্ছিল নদিয়ার রানাঘাটের তিন জন। তবে শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পুতিবার বিকেলে কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি মোড়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল ওই তিন ‘পুলিশ’। তারা হলেন তারক দাস, হিজুলিপাড়া মোড়ের রণজিত্ দাস, নামোপাড়ার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সাদা রঙের চারচাকার গাড়িতে পুলিশের বোর্ড লাগিয়ে রানাঘাটের ওই তিন ব্যক্তি ঘুরে বেড়াত। পুলিশের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে তোলা আদায় করত তারা। দু’দি আগে কাটোয়ার দু’টি দোকান থেকে ভয় দেখিয়ে তোলা আদায় করে তারা। বুধবার বিকেলে কেতুগ্রামের চড়খি গ্রামে গিয়ে বিদেশি মদের খোঁজ করে তারা। তখন জানতে পারে, উজ্জ্বল সাহা নামে এক বিদ্যুত্ সরঞ্জাম বিক্রেতা বেআইনি ভাবে ওই এলাকায় মদ বিক্রি করেন। এর পর তারা তার দোকানে গিয়ে মদ দিতে বলেন। |
কেতুগ্রাম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, উজ্জ্বলবাবু লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি ওই তিনজনকে মদের বোতল দিতেই, পুলিশের পরিচয় দিয়ে এক জন তাঁর কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা দাবি করেন। বলেন, ওই টাকা গাড়ির ভিতর বসে থাকা ‘সিআইডি অফিসারকে দিতে হবে। উজ্জ্বলবাবুর দাবি, “ওই অফিসারের কাছে টাকার পরিমাণ কমানোর জন্য অনুরোধ করতে যেতেই দোকানে বসে থাকা এক জন আমার দোকানের কর্মচারির হাত থেকে কুড়ি হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এর পর চোখের সামনে দিয়ে গাড়িটি কেতুগ্রামের দিকে চলে যায়।” এর পরেই উজ্জ্বলবাবু কেতুগ্রাম থানায় খবর দেন। ততক্ষণে অবশ্য সাদা গাড়ি কেতুগ্রাম থানা পেরিয়ে কাটোয়া-সিউড়ি রোডে চলে গিয়েছে। কেতুগ্রামের আইসি আবদুর গফ্ফর বলেন, “আমি পাঁচুন্দিতে বাস ও লরি দিয়ে রাস্তা আটকাতে বলি। সেই মতো ওখানের কর্মীরা রাস্তা আটকান। পরে কেতুগ্রাম থেকে পুলিশ গিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে।” গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ গাড়ি থেকে বেশ কিছু ‘পুলিশ’ লেখা বোর্ড ও প্রায় ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। |