টুকরো খবর
তদন্তে সাহায্যে সিআইডি-দল
রেশন ডিলার খুনের ঘটনার তদন্তে সিআইডি’র হাতের ছাপ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে কোচবিহার জেলা পুলিশ। সেই সঙ্গে মৃতের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। সোমবার রাতে তুফানগঞ্জের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে জাকির হোসেন নামে ওই রেশন ডিলার খুন হন। বাড়ির একটি ঘর থেকে গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে। এ দিন জেলা পুলিশ সুপার কৃষ্ণপুর গ্রামে যান। মৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, মৃত রেশন ডিলারের সঙ্গে ছেলের বনিবনা ছিল না। তিনি প্রেম করে বিয়ে করেন। এর পর থেকে বাড়িতে না থেকে ওই গ্রামে কাকার বাড়িতে থাকতেন। অন্য দিকে অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে রেশন ডিলারের অশান্তি লেগেই ছিল। কিছু দিন আগে গোলমালের জেরে জাকিরের স্ত্রী অসমে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। ঘটনার সময় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে তিনি চারজন দুষ্কৃতীর নাম বলেন। অথচ এফআইআরে দু’জন দুষ্কৃতীর কথা উল্লেখ করেছেন। পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, জাকির নিজে গ্রিল খুলে দেন। প্রশ্ন উঠেছে অপরিচিত কেউ রাতে বাড়িতে এলে তিনি কেন গ্রিল খুলতে যাবেন! কারণ, মৃতের স্ত্রী নিজেই বলেছেন দুষ্কৃৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল। তাই পরিবারের দাবি নিয়ে পুলিশ ধন্দে রয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যুর আগে যে কেই হোক নিজেকে বাঁচাতে জাকির চেষ্টা করবেন সেটাই স্বাভাবিক। দেহ মেলে খাটে লেপ মোড়া অবস্থায়। তাই মাদক মেশানো কিছু খাইয়ে জাকিরকে খুনের সম্ভবনা পুলিশের তদন্তকারীরা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ওই বিষয়ে নিশ্চিত হতে মৃতের ভিসেরা পরীক্ষা করানোর জন্য কলকাতার বেলগাছিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। ঘটনার আগে মৃত ব্যক্তি কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন সেটা জানতে কললিস্ট যাচাই করার কাজও শুরু করেছে পুলিশ।

লক্ষ্যমাত্রা দেড় কোটি
রাজ্যে দেড় কোটি অসংগঠিত শ্রমিককে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে শ্রম দফতর। বুধবার কোচবিহার ল্যান্সডাউন হলে শ্রম দফতরের উদ্যোগে জেলার অসংগঠিত শ্রমিকদের সরকারী প্রকল্পের সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে রাজ্যের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার পশুপতি ঘোষ দফতরের ওই পরিকল্পনার কথা জানান। ২০০১ সালে রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিকদের পর্য্যায়ক্রমে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। ৪২ লাখ অসংগঠিত শ্রমিককে প্রকল্পের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওই সংখ্যা দেড় কোটি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে গত ২০১২ সালে প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ অসংগঠিত শ্রমিক। ওই দফতরের রাজ্যের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার পশুপতি ঘোষ বলেন, “অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনার ব্যাপারে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০০৬-১১ সালে যেখানে ওই প্রকল্পে ২ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হয়। গত দেড় বছরে ওই সাহায্যের অঙ্ক হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। খুব দ্রুত আমরা প্রকল্পের আওতাভুক্ত শ্রমিক সংখ্যা দেড় কোটিতে নেওয়ার ব্যাপারেও চেষ্টা চালাচ্ছি।” এদিন ল্যান্সডাউন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অসংগঠিত শ্রমিকদের মধ্যে ৫৩ জন কে সাইকেল বিলি করা হয়। এছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৃত্যুকালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় ২২০ জনকে। অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম কমিশনার মহম্মদ রিজওয়ান, কোচবিহারের সহকারী শ্রম কমিশনার সুমন্ত রায়, শ্যামাপ্রসাদ কুন্ডু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে একটি মিছিল শহর পরিক্রমা করে।

পচন ধরেছে পান পাতায়
শৈত্যপ্রবাহের পচন শুরু হয়েছে পান বাগানে। খসে পড়ছে পাতা। ঝিমিয়ে পড়েছে লতানো গাছ। ওই ঘটনায় ইসলামপুরে সাড়ে তিনশো পানচাষির মাথায় হাত পড়েছে। জেলার উদ্যান পালন আধিকারিক সৌমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, “পানচাষির সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে।” চাষিরা জানান, শীতের প্রকোপ বেশি হলে পান গাছে ক্ষতি হয়। গাছ শুকিয়ে যায়। পাতা খসে পড়ে। সোমবার থেকে তাপমাত্রা মাত্রা কমতে শুরু করায় ওই সমস্যা ব্যাপক আকার নিয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৮ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। হঠাৎ শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পান বাগানে সমস্যা পচন রোগের সমস্যা বেড়েছে। বুধবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন রোদ উঠলেও ঠান্ডা থাকায় সমস্যা কমেনি। ইসলামপুরের জীবন মোড় ও শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার সাড়ে ৩০০ চাষি পান চাষের সঙ্গে জড়িত আছেন। স্থানীয় চাষিরা জানান, সোমবার থেকে গত তিন দিনে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে কুয়াশার প্রকোপ এতোটাই বেশি ছিল যে পান গাছ ধকল সইতে পারেনি। সহজে পচন শুরু হয়। পান চাষি শৈলেন দাস বলেন, “প্রতি বছর শীতে পান গাছে পচন রোগ দেখা দেয়। সে ভাবে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু এ বার কোনও কিছু করে লাভ হয়নি। সমস্যার কথা উদ্যান পালন বিভাগের কর্তাদের জানানো হয়েছে।” উদ্যানপালন দফতর কর্তারা জানান, শীতের প্রকোপ থেকে গাছ বাঁচাতে পান চাষিদের উত্তর দিক থেকে ভাল করে বাগান ঘিরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয় এই সময় পান গাছে জল কম দিতে।

গঙ্গায় এখনও নিখোঁজ তিন
বুধবার সকাল থেকে তল্লাশি চালিয়েও মানিকচকের গঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই মহিলাসহ তিন গ্রামবাসীর সন্ধান পায়নি পুলিশ। পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে নৌকায় বেশি লোক ও প্রচুর পরিমানে ঘাস ওঠানোর জন্য মঙ্গলবার গঙ্গায় নৌকাডুবি হয়েছে।” মানিকচক থানার ওসি পরিমল সাহা জানান, নৌকাডুবিতে গঙ্গায় ১৫-১৬ জন যাত্রী জলে ডুবে গিয়েছিলেন। ১৩ জন যাত্রী সাঁতার দিয়ে বাঁচলেও মানিকচকের বাগডোগরা গ্রামের সাবিত্রী মন্ডল (৪০), শান্তি মন্ডল ( ৫৭) , পাণ্ডু মণ্ডলের (২৭) খোঁজ তল্লাশি চালানোর পরেও মেলেনি! মঙ্গলবার সকালে বাগডোগরা গ্রামের বেশকিছু গ্রামবাসী গঙ্গার মধ্যে দিয়ারা নামে একটি চরে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। ঘাস কেটে বিকেল চারটে নাগাদ নৌকায় ঘাস বোঝাই করে ১৫-১৬ গ্রামবাসী বাগডোগরা গ্রামে ফিরছিলেন। ঘাস ও বাড়তি মানুষের অতিরিক্ত চাপের পাশাপাশি মাঝগঙ্গায় হাওয়ায় জলের ঢেউয়ের মুখে পড়ে নৌকা গঙ্গায় ডুবে যায়।

কূপ, শ্যালো নিয়ে ক্ষোভ
আগাম না জানিয়ে অগভীর নলকূপ ও শ্যালো বসানোর অভিযোগ নিয়ে হলদিবাড়ি ব্লকের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, উপভোক্তার তালিকা তৈরি না করে সেগুলি এগ্রি-ইরিগেশন দফতর থেকে বিলি করা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় ৭৫ জন উপভোক্তার জন্য অগভীর নলকূপ এবং শ্যালো দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাঁদের কিছু না জানিয়ে ওই সমস্ত সামগ্রী বিলি করায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কোচবিহার এগ্রি-ইরিগেশন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে প্রকল্পের সূচনা হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় উপভোক্তাদের তালিকা হয়। দফতরে কোচবিহারের বাস্তুকার দীপঙ্কর মজুমদার বলেন, “তালিকা তৈরি ছিল। কাউকে না জানিয়ে কাজ করার অভিযোগ ঠিক নয়।”

টাকা বিলি
বিপিএল তালিকাভূক্ত ৩৬১ পরিবারকে ইন্দিরা আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হল। বুধবার পরিবারপিছু সাড়ে ২২ হাজার টাকা ব্যাঙ্কে জমা করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.