নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
খুশি ও হতাশার আবহে বুধবার সকালে তিস্তার বাঁ হাতি খাল থেকে সেচের জন্য জল ছাড়া হল। এদিন ৪ কিউসেক জল ওই খালে ছাড়া হয়। জল পেয়ে একদিকে যেমন বোরো ধান চাষিরা খুশি। অন্যদিকে খালের কাজ শেষ না হওয়ায় সেচের জল না পেয়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁ হাতি খালের ১ ,৩, ৪ এবং ৫ শাখা খাল দিয়ে আপাতত সেচের জল সরবরাহ করা হবে। কিন্তু রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১(এ) শাখা খালের কাজ শেষ না হওয়ায় এ দিন জল দেওয়া সম্ভব হয়নি। ওই পরিস্থিতিতে প্রধান খালে জল থাকলেও তা গ্রামে না পৌঁছনোয় রাজাডাঙার চাষিরা হতাশ। এমদাদুল ইসলাম, বিমল রায়ের মতো স্থানীয় চাষিরা জানান, খালে জল না ছাড়া পর্যন্ত বোরো ধানের চাষ করবেন কিনা ছিক করতে পারেননি। রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আঞ্জুমা খাতুন বলেন, “এই সময় সেচের জল না পাওয়া গেলে বোরো চাষ কমবে।” |
বাঁ হাতি খালে জল। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক। |
যদিও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিস্তা সেচ প্রকল্পের সুপারিনটেনডেন্ট বাস্তুকার জয়ন্ত দাস। তিনি বলেন, “১(এ) শাখা খাল দিয়ে দ্রুত সেচের জল সরবরাহের চেষ্টা চলছে।” এ দিকে ক্রান্তি এলাকায় সেচের জল সরবরাহে কোনও সমস্যা হবে না শুনে স্থানীয় চাষি মহলে খুশির আবহ তৈরি হয়। স্থানীয় চাষি বিপুল রায় বলেন, “গ্রামে জল আসবে শুনে ভাল লাগছে।” ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল হাওলাদার জানান সেচের জল মিলবে শুনে চাষিরা খুশি। খালের কাজ শেষ না হওয়ায় মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবছর সেচের জল মিলবে না। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তে এ দিন এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহাদেব রায় বলেন, “কতদিনে কাজ শেষ হবে বুঝতে পারছি না। এ বারও সেচের জল মিলবে না এলাকার মানুষ তা মেনে নিতে পারছে না। |