|
|
|
|
হোটেলে বচসা, বঁটির কোপে জখম কিশোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বচসা চলাকালীন এক কিশোর হোটেল কর্মীর গলায় বঁটির কোপ বসিয়ে দিলেন এক যুবক। পুরনো আক্রোশের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান। গুরুতর জখম ওই কিশোরকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ওই যুবককে মারধর করেন। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে তাঁর চোখে আঘাত রয়েছে।
বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানা এলাকার রাধানগরের একটি হোটেলে। জখম হোটেল কর্মীর নাম অক্ষয় কালিন্দী। কয়েক মাস হল সে এই হোটেলে কাজ করছে। ১৬ বছরের এই কিশোরের বাড়ি স্থানীয় কনকবাঁধির ডাঙাপাড়ায়। যে যুবক অক্ষয়ের গলায় বঁটির কোপ মেরেছেন বলে অভিযোগ, তাঁর নাম অনুপ মান্না ওরফে বাবুয়া। বাড়ি গড়বেতারই তালডাংরায়। অনুপও আগে এই হোটেলে কাজ করতেন। সম্প্রতি মালিক তাঁকে বরখাস্ত করেন। পুলিশের অনুমান, অনুপের ধারণা হয়েছিল অক্ষয়ের জন্যই তাঁর কাজ গিয়েছে। তার জেরেই এ দিনের হামলা। বুধবার সকালে হোটেলে সব্জি কাটছিল অক্ষয়। ন’টা নাগাদ সেখানে হাজির হন অনুপ। দু’জনের বচসা বাধে। এরপর হঠাৎই বঁটি তুলে অক্ষয়ের গলায় কোপ মারেন অনুপ। জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। খবর পেয়ে লোক জড়ো হয়ে যায়। অক্ষয়কে প্রথমে গড়বেতা হাসপাতাল, পরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়।
ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা অনুপকে মারধর করেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। আটকও করা হয়। রাধানগরের ওই হোটেলটির মালিক সুভদ্রা আশ। জখম অক্ষয়ের সঙ্গে এ দিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে এসেছিলেন তাঁর ছেলে প্রদীপ। প্রদীপবাবু বলেন, “আমি তখন হোটেলে ছিলাম না। হঠাৎ খবর পাই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এসে দেখি, অক্ষয় মাটিতে পড়ে। রক্ত বেরোচ্ছে।” পুলিশ তদন্ত করছে। |
|
|
|
|
|