|
|
|
|
কৃষি পেনশন চালুর দাবি সিপিআইয়ের কনভেনশনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিপিআইয়ের দু’টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এক কনভেনশন হল মেদিনীপুর শহরে। সেখানে কৃষক ও খেতমজুরদের স্বার্থরক্ষায় জোর সওয়াল করলেন নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা সারা ভারত কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পান্ডা, ভারতীয় খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক ধীরেন দাশগুপ্ত, প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা প্রমুখ।
সারা ভারত কৃষকসভা এবং ভারতীয় খেতমজুর ইউনিয়ন এই দুই সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির যৌথ উদ্যোগে বুধবার এই কনভেনশন থেকে বেশ কয়েক দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। যেমন ৬০ বছরের উর্ধ্বে সব কৃষককে ন্যূনতম তিন হাজার টাকা কৃষি পেনশন দেওয়া, ধানের সংগ্রহ মূল্য প্রতি কুইন্টাল দেড় হাজার টাকা করা, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত দু’টি করে সংগ্রহ কেন্দ্র খোলা, সার-বিদ্যুৎ-ডিজেল-সহ সব কৃষি উপকরণ সস্তায় দেওয়া, বিপিএল-এপিএল বিভাজন দূরে রেখে সার্বিক গণবন্টন ব্যবস্থা চালু করা প্রভৃতি। দাবি পূরণে গণআন্দোলন গড়ে তোলারও ডাক দেন নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক মহলের অবশ্য বক্তব্য, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তার প্রস্তুতি শুরু করেছে। পঞ্চায়েতের কথা ভেবে সকলে কৃষক সংগঠনে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। মেদিনীপুরের এই কনভেনশনও সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই। সপ্তাহ দুয়েক আগে কেশিয়াড়িতে সিপিএমের কৃষকসভার জেলা সম্মেলন হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, দীপক সরকার। ওই সমাবেশ থেকেই গ্রামে গ্রামে কৃষক কমিটি গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। নেতৃত্ব জানান, কৃষক কমিটিগুলোকে দুর্গে পরিণত করতে হবে। সিপিএমের সভার চার দিন পরই পাল্টা সমাবেশে করে তৃণমূল। ছিলেন সাংসদ মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী থেকে কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। সভার আয়োজন করে ‘কিষাণ ও খেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেস’ নামে তৃণমূলেরই সদ্য গড়ে ওঠা সংগঠন। পাল্টা সভা থেকে শাসক দলের নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা লড়াইয়ে সিপিএমকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে সিপিএমকে ধুয়েমুছে সাফ করে দেওয়ার সব রকম চেষ্টা হবে। এই পরিস্থিতিতেই কৃষক ও খেতমজুরদের সংগঠিত করতে সিপিআই উদ্যোগী হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। |
|
|
|
|
|