পটনা চিড়িয়াখানায় এ বারের এই তীব্র শীতে নবাগত অতিথি, দুই শিম্পাজি। ওড়িশার নন্দনকাননের এই দুই বাসিন্দা এই প্রথম পটনার এই ঠান্ডার মুখোমুখি। আগে কোনও শিম্পাজি পটনার চিড়িয়াখানায় না থাকায় ওই দুই অতিথিকে নিয়ে এই ঠান্ডায় একটু বেশি ব্যস্ত চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কারণ এই ঠাণ্ডায় শিম্পাজি সামলানোর কোনও অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। তাই খাতির যত্নও চলছে পুরোদমে। ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে তাদের খাদ্য তালিকায় ঢোকানো হয়েছে চব্যনপ্রাশ আর কিসমিস। মানুষের শরীরের সঙ্গে কিছুটা মিল থাকায় এই খাদ্য তাদের পক্ষে উপযুক্ত বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। আপাতত বহাল তবিয়তে চিড়িয়াখানায় দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে এই দুই নবাগত। তবে ঠান্ডায় একটু জবুথবু। |
তীব্র ঠান্ডায় হিটারের গরম হাওয়ায় বিশ্রাম পশুরাজের। ছবি: নগেন্দ্র সিংহ |
অন্য দিকে, পশুরাজ সিংহ বা বাঘ কিন্তু হার মেনেছে শীতের কামড়ে। আজকে পটনার তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। এমন ঠাণ্ডায় পরাজিত হয়ে এই শক্তিমানেরা ঘর থেকে বেরোচ্ছেই না। তাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে বাড়তি খাদ্য। ব্যবস্থা হয়েছে হিটারেরর। আপাতত, হিটার জ্বালিয়ে চাঙ্গা রাখতে হচ্ছে তাদের। শীতঘুমে যাওয়া সাপ থেকে হরিণ, লেপার্ড থেকে ভালুক, সকলেই শীতের কামড়ে জড়সড়। সাপের সামনে খাবার রেখে দেওয়া সত্ত্বেও সে শীতের আলস্যে খেতে নারাজ। গরম বাল্ব জ্বালিয়ে তাদের বাড়তি উষ্ণতার ব্যবস্থা হয়েছে। যে হরিণ সারা দিন এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায় তারা শীতে এতটাই কাবু যে সকলেই একসঙ্গে দল বেঁধে, গায়েগায়ে থাকছে। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা অভয় কুমার বলেন, “হরিণ এক সঙ্গে থাকলে ওদের শরীর বেশি গরম থাকে। ঠান্ডা কম লাগে। এ ছাড়াও বিছানা করা হয়েছে কাঠের পাটাতন আর খড় বিছিয়ে।” শরীর গরম রাখতে খাওয়ানো হচ্ছে আখ, মহুয়া।”
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তীব্র ঠান্ডার হাত থেকে পশুপাখিদের বাঁচাতে ৪০টি হিটার বা ব্লোয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে চিড়িয়াখানা জুড়ে। প্রতিটি প্রাণীরই খাবারের পরিমাণ গড়ে ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বাঘ বা সিংহের খাদ্য তালিকায় গরুর মাংস যেমন বাড়ানো হয়েছে, তেমনি শিম্পাজিকে চব্যনপ্রাশ বা কিসমিস খাইয়ে তাজা রাখতে হচ্ছে। সকলকেই দেওয়া হয়েছে কাঠের বিছানা। তাতে তোষক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে খড়। |