টুকরো খবর
জঙ্গলে বুনোদের তাণ্ডব
বন দফতরের রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন এলাকায় দেড় ঘণ্টা তান্ডব চালিয়ে নয়টি ঘর গুড়িয়ে দিল একটি দাঁতাল হাতি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর সংলগ্ন উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে। ঘটনাটি রেঞ্জ অফিসের পাশে হলেও হাতি তাড়াতে সময় মতো বনকর্মীদের দেখা মেলেনি। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বুধবার বন দফতরের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এডিএফও শেখর মজুমদার বলেন, “হাতি ফিরে যওয়ার পরে বনকর্মীরা পৌঁছেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাবেন।” বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার কনকনে শীতের রাতে একটি দাঁতাল হাতি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বার হয়ে প্রথমে মাঝেরডাবরি চা বাগান এলাকায় ঢোকে। সেখানে দুটি ঘর ভাঙে। পরে উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে যায়। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দাপিয়ে বেড়ায়। বিজয় রায়, তোজারুদ্দিন মহম্মদ, ভাদু রায়, বাসুদেব দাস, বাবলু বর্মন, বিমলা দাস, রণজিৎ সোনার, মঞ্জু রায়ের ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু সরকার বলেন, “বুনোটি তান্ডব চালানোর সময় কয়েকবার বনকর্মীদের খবর দেওয়া হয়। ওঁরা আসেনি। পরে গ্রামবাসীরা আগুন জ্বালিয়ে রাত ১টা নাগাদ হাতি তাড়ায়।” বাসিন্দারা বনকর্তাদের জানান, থাকার মতো ঘর নেই। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ছেলেমেয়েদের নিয়ে কেমন করে থাকবেন! বিমলা রায় বলেন, “রাতে শব্দ শুনে জেগে উঠি। দেখি মহাকাল বাঁশের বেড়া ভাঙছে।”

রেল লাইনে ধাক্কা, জখম হাতির স্বাস্থ্যের অবনতি
ঠান্ডায় ট্রেনের ধাক্কায় জখম হাতিটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে এই কড়া শীতের হাত থেকে অসুস্থ হাতিকে বাঁচাতে তার চার পাশে আগুন জ্বেলে তাপ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় ঝাঝা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তিন হস্তি শাবকের মৃতু হয়। আহত হয় আরও দু’টি হাতি। এর মধ্যে গুরুতর আহত একটি পুরুষ হস্তি শাবককে চিকিৎসার জন্য রেল লাইনের ধার থেকে সরিয়ে ২৩ মাইল টাওয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডি এফ ডি ভাস্কর জেভি জানান, প্রাথমিক ভাবে অসুস্থ হাতিটি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু দু’দিন প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ায় ও হাতিটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। অসুস্থ থাকায় পর্যাপ্ত খাবার নিজে খেতে পারছে না। ঠান্ডার হাত থেকে হাতিটিকে বাঁচাতে ২৩ মাইল টাওয়ারের ধারে হাতিটির পাশে কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়েছে। এতে অসুস্থ হাতিটি কিছুটা আরাম পাবে। তা ছাড়া ঠান্ডার হাত থেকে তাঁর গায়ে বস্তা দেওয়া হচ্ছে। হাতির পেছনের দুটি পা অসাড় ছিল। একটি পা হাতিটি নাড়ানো শুরু করে। এ দিন তাকে থেকে স্যালাইন দেওয়া শুরু হয়েছে। এ দিনও জখম অন্য হাতিটির খোঁজ পায়নি বন দফতর।

ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানার এখন নতুন অতিথি
ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া দু’বছরের হস্তিশাবকটি মঙ্গলবার রাতে এসে পৌঁছল ঝাড়গ্রামের মিনি চিড়িয়াখানায়। চঞ্চল হাতিটিকে আপাতত বেঁধে রাখতে হয়েছে। বুধবার বনকর্মীদের এগিয়ে দেওয়া বালতি থেকে গ্লুকোজ মেশানো জল খেয়েছে হাতিটি। কয়েকটা কলাগাছ খেয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়েছে। প্রাণী চিকিৎসকদের বক্তব্য, “বাচ্চা হাতিটি সুস্থ রয়েছে। মানুষের মাঝে স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।” ঝাড়গ্রামের ডিএফও অশোকপ্রতাপ সিংহ বলেন, “মানুষের সঙ্গ পাওয়া দলছুট শাবকটিকে দলমার পাল আর ফিরিয়ে নেবে না। এটাই বুনো হাতিদের চরিত্র। প্রাণী চিকিৎসকেরা নিয়মিত হাতিটিকে দেখছেন। হাতিটিকে পাকাপাকি ভাবে কোথায় রাখা হবে তা ঠিক করবে রাজ্য বন্যপ্রাণ শাখা।”

বনগাঁয় পাচারের সময় আটক গরুভর্তি ট্রাক
তল্লাশি চালানোর সময় দু’টি গরু ভর্তি ট্রাক আটক করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জন পাচারকারীকে। পুলিশ জানিয়েছে, দুটি ট্রাকে ৪২টি গরু ছিল। ধৃতদের বাড়ি গোপালনগরের মেহেরপুর ও নদিয়ার চাকদহ এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, বাংলাদেশে পাচারের জন্য গরুগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

জখম গন্ডার
গরুমারা জঙ্গলে প্রেমিকা দখলের লড়াইয়ে জখম একটি পুরুষ গন্ডারের খোঁজ মিলেছে। বুধবার সকালে ওই গন্ডারটিকে প্রথম দেখা যায়। এ দিন থেকে বুনোটির চিকিৎসা শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ-২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “প্রেমিকা দখলের লড়াইয়ে গন্ডারটি জখম হয়ে থাকবে। বুনোটিকে অচৈতন্য করে চিকিৎসা করা হচ্ছে।” গন্ডারটি জঙ্গলের ঠিক কোন এলাকায় রয়েছে তা নিরাপত্তার কারণে গোপন রাখা হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.