|
|
|
|
সাহেবগঞ্জ |
ছাত্রদের হাতে নিহত বাঙালি শিক্ষিকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ছাত্রদের অনুরোধ ফেরাতে পারেননি তিনি। রাজি হয়েছিলেন বাড়িতে টিউশন পড়াতে। কিন্তু ছাত্রদের প্রস্তাব মানাই কাল হল সাহেবগঞ্জের বাঙালি শিক্ষিকার। নিজের বাড়িতেই ছাত্রদের ছুরির আঘাতে নিহত হলেন নেতাজি সুভাষ কলোনির বাসিন্দা রীতা বিশ্বাস (৫৫)। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর স্বামী আশিস বিশ্বাসও আহত হয়েছেন। তাঁকে মালদহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাহেবগঞ্জের জিরওয়াবাড়ি থানার পুলিশ জানাচ্ছে, গত কাল সকালে ঘটনাটি ঘটে। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিন ছাত্র তাঁর সঙ্গে প্রাইভেট টিউশন পড়ার জন্য দেখা করতে আসে। সাহেবগঞ্জের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বিজ্ঞান পড়াতেন রীতাদেবী। আততায়ীরা সেই স্কুলেরই নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। এ পর্যন্ত আততায়ীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। কেন ওই ছাত্রেরা শিক্ষিকাকে খুন করল এখনও তা রহস্যের মধ্যেই রয়েছে। তদন্তকারীরা পুলিশ অফিসাররা জানান, সন্দেহের বশবর্তী হয়ে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে রীতাদেবীর স্বামীকে দিয়ে তাদের চিহ্নিত করানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ওই আটক কিশোরদের কেউই আততায়ী নয় বলে আশিসবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন।
রীতাদেবীর পরিবার সূত্রে খবর, তিন ছাত্রের মধ্যে এক জন গত পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। সে প্রাইভেট টিউশন পড়তে চেয়ে রীতাদেবীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে। রীতাদেবী তাঁকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়িতে আসতে বলেন। ওই ছাত্র আরও দুই ছাত্রকে নিয়ে রীতাদেবীর বাড়িতে আসে। পুলিশ জানাচ্ছে, প্রথমে ওই ছাত্রটি নিজে একা রীতাদেবীর বাড়িতে ঢোকে। বাকিরা বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিল। রীতাদেবী তাকে পড়ানোর ব্যাপারে রাজি হন। দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা চলাকালীন অন্য দু’জন বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। তারপরেই তারা তিনজনে মিলে ছুরি বের করে রীতাদেবীকে আক্রমণ করে।
রীতাদেবীর স্বামী আশিসবাবু নিজেও ঘটনার ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ঘটনার সময় তিনি ভিতরের ঘরে ছিলেন। স্ত্রীর চিৎকার শুনে তিনি বাইরের ঘরে ছুটে বেরিয়ে আসেন। স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আক্রমণকারীরা তাঁর উপরেও চড়াও হয়। তাঁকেও ছুরি মারা হয়। বিশ্বাস দম্পতির চিৎকার শুনে আশপাশের প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে ওই তিন ছাত্র পালিয়ে যায়।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যান ওই শিক্ষিকা। পরে আহত অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আশিসবাবুকে নিয়ে যাওয়া। |
|
|
|
|
|