|
|
|
|
ভোট এখনও দূর অস্ত, ঘোষিত বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা |
আশিস বসু • আগরতলা |
রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট এখনও ঘোষণাই করেনি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাতে কি, নিজেদের ঐতিহ্য মেনে, তার অনেক আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিন ত্রিপুরা বামফ্রন্ট। কী পরিস্থিতে ত্রিপুরায় এ বার বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিয়ে সিপিএমের রাজ্য দফতরে রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএম সাংসদ খগেন দাস বামফ্রন্ট প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। রাজ্যের ৬০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভার ৫৯টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষিত হয়েছে। ৫৫টি সিপিএমের, ২টি আরএসপি, ১টি সিপিআই এবং ১টি ফরওয়ার্ড ব্লকের। সিপিআইয়ের এক জন প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে নতুন মুখ বারোটি। যার মধ্যে সিপিএমেরই ১১ জন। এঁরা হলেন: বড়জলা কেন্দ্রে জিতেন দাস, সূর্যমণিনগর কেন্দ্রে রাজকুমার চৌধুরী, চড়িলামে রমেন্দ্র দেববর্মা, সোনামুড়ায় শ্যামল চক্রবর্তী, কাঁকড়াবন-শালগড়ায় রতনমণি ভৌমিক, করবুকে (এসটি) প্রিয়মণি দেববর্মা, আমবাশায় ললিত দেববর্মা, করমছড়ায় গজেন্দ্র ত্রিপুরা, পাবিয়াছড়ায় সমীরণ মালাকার, ফটিকরায়ে তনু মালাকার এবং কৈলাশহরে মাবাসার আলি। আরএসপি বাধারঘাট কেন্দ্রের সমর দাসকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। |
|
সবে প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়েছে। ভোট কবে ঠিক নেই। ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট
কর্মীরা এখনই তৈরি ভোটযুদ্ধের জন্য। ছবি: উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
এ বারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি সিপিএমের বর্তমান বিধয়কদের মধ্যে ছ’জন। তাঁরা হলেন বিজয় রায়, বিধুভূষণ মালাকার, প্রশান্ত দেববর্মা, নারায়ণ রূপিনী, শৈলন্দ্র দেববর্মা এবং কেশব মজুমদার। টিকিট পাননি আরএসপির বিতর্কিত বিধায়ক পার্থ দাস। সিপিএম মুখপাত্র গৌতম দাসের ব্যাখ্যা, এঁদের কেউ কেউ বয়সের কারণে এ বার প্রার্থী হতে চাননি। কেউ কেউ ব্যক্তিগত কারণে নিজে থেকেই প্রার্থী হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। দু’একটি ক্ষেত্রে বর্তমান বিধায়কদের বাদ দেওয়া হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রগুলির ‘সীমা পুনর্বিন্যাসের’ কারণে। এই ছ’জন ছাড়া বর্তমান সিপিএমের বাকি বিধায়কেরা এ বারও প্রার্থী হয়েছেন। দু’তিনটে কেন্দ্রে সিপিএমের গত বারের বিজিত প্রার্থীদেরই এ বারেও প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু আরএসপির পার্থ দাসের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো’ তফশিল সার্টিফিকেট বিতর্ক ওঠায় এ বার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি।
সিপিআইয়ের মনীন্দ্র রিয়াং প্রার্থী হয়েছেন শান্তিরবাজার কেন্দ্রে। বনমালিপুর কেন্দ্রে এ বারও সিপিআই প্রার্থী দেবে। কিন্তু সেখানে প্রার্থী কাকে করা হবে তা নিয়ে দল এখনও দোলাচলে থাকায় আজকের সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা যায়নি। এ দিকে, সিপিএমের ঘোষিত প্রার্থীর মধ্যে পাঁচ জন রয়েছেন মহিলা প্রার্থী। সাব্রুমের রিতা কর, তেলিয়ামুড়ার গৌরী দাস এবং বাগবাসার বিজিতা নাথএই তিন জনই বর্তমানে বিধায়ক। বাকি দু’জনের মধ্যে এক জন গত বারের বিজিত প্রার্থী, কমলপুরের বিজয়লক্ষ্মী সিন্হা। আর ফটিকছড়া কেন্দ্রের তনু মালাকার এ বারই প্রথম নির্বাচনে লড়বেন।
ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্যামল রায় দলের রাজ্য সম্পাদক। তিনিই এ বার দলীয় প্রার্থী হয়েছেন টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে। বামফ্রন্ট কমিটির আজকের সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ খগেন দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর, সিপিএমের গৌতম দাস, আরএসপির মঞ্জুকুমার মজুমদার, ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্যামল রায় ও আরএসপির সুদর্শন ভট্টাচার্য। |
|
|
|
|
|