টুকরো খবর |
ধর্ষণের কিছু ক্ষেত্রে প্রাণদণ্ডই চাইছে বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দলে মতান্তর সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ধর্ষণের জন্য কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশই করল বিজেপি। বিচারপতি জে এস বর্মা কমিটিকে আজ বিজেপির সভাপতি নিতিন গডকড়ীর পক্ষে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পক্ষপাতী নন বিজেপির অনেকেই। কংগ্রেসও মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ করেনি। কিন্তু লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ ঘটনার পরেই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবি করে বসেছিলেন। যে কারণে বিজেপি নেতারা অনেক আলোচনার পর কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছেন, যাতে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত সাজার সুপারিশ করা হয়েছে। বিজেপির সুপারিশ, গণধর্ষণ বা জেল হেফাজতে ধর্ষণ কিংবা অপহরণের পর ধর্ষণ হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত সাজা দেওয়া যেতে পারে। অথবা নিগ্রহের পর কোনও মহিলার যদি মানসিক প্রতিবন্ধকতা বা অঙ্গহানি হয়, তা হলেও অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। ল’ কমিশনের সুপারিশ মেনে বিজেপি ধর্ষণের সংজ্ঞার পরিধি বাড়িয়ে যৌন নিগ্রহকেও এতে সামিল করার প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতে মহিলাদের উপর অ্যাসিড আক্রমণের বর্ধিত প্রবণতার কথা মাথায় রেখে, সে ক্ষেত্রেও সাজাকে আরও কঠোর করার দাবি তুলেছে বিজেপি। পাশাপাশি দিল্লির ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপির দাবি, এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে নাবালকের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হোক।
বিজেপি নেতারা কবুল করছেন, তাঁদের প্রস্তাব বর্মা কমিটি মানবে কি না, আর কমিটি মানলেও সরকার তা গ্রহণ করবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে হুবহু এই প্রস্তাব সরকার স্বীকার করে নিলেও বিপদ রয়েছে। কারণ, ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে অপরাধীরা প্রমাণ লোপের জন্য মহিলাকে মেরে ফেলতে পারে। দুই, এই প্রস্তাব আইন আকারে এলে এর অপব্যবহারও হতে পারে। তবে এই খসড়া তৈরির ব্যাপারে যাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, বিজেপির সেই আইনজীবী নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “অপব্যবহার হবে বলে আইন তৈরি হবে না, এটা কোনও যুক্তি নয়। এই মুহূর্তে কড়া আইনের পক্ষে যে জনমত গড়ে উঠেছে, তার প্রেক্ষাপটেই বহু আলোচনার পর এই প্রস্তাব তৈরি হয়েছে।”
|
আত্মসমর্পণের নাটক, কাঠগড়ায় আধাসেনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
জওয়ানের চাকরি করতে এসে বনে যাচ্ছিলেন জঙ্গি! নির্বিচারে হত্যা, ভুয়ো সংঘর্ষ, জঙ্গিদের হয়ে কাজ করার পাশাপাশি মণিপুরে আসাম রাইফেল্স-এর বিরুদ্ধে ভুয়ো আত্মসমর্পণ করানোর অভিযোগও বারবার উঠেছে। এ বার সাত যুবক মণিপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই একই অভিযোগ তুলল আসাম রাইফেল্সের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কেওয়াইকেএল-এমডিএফ জঙ্গি সংগঠনের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তাঁদের জঙ্গি সাজিয়ে হাজির করানোর চেষ্টা করে আসাম রাইফেল্স। অভিযোগকারী যুবকদের নাম মোইরাংথেম ওকেন, এলাংবেম মুহিন্দ্র, মোইরাংথেম থোইবা, নংথোমবাম জনি, মোইরাংথেম প্রেমকান্ত, থকচম নীলাম, নিংথৌজাম হেরোজিৎ। হেইরক পার্ট ২ এলাকার বাসিন্দা ওই সাত যুবকের বক্তব্য, সাগোলসেম পূর্ণিমা নামে এক মহিলা তাঁদের জওয়ানের চাকরির টোপ দিয়ে ৪২ আসাম রাইফেল্স-এর শিবিরে নিয়ে যায়। ৪ জানুয়ারি চান্ডেলের ওই শিবিরে অফিসাররা তাঁদের চাকরির ভরসা দিয়ে ছবি তুলে রাখেন। অভিযোগ, এরপর সকলের নাম-ধাম সংগ্রহ করে ‘কেওয়াইকেএল-এমডিএফ’ লেখা একটি সাদা লেটারহেডে জোর করে সই করিয়ে নেওয়া হয়। তারপর আরও পঞ্চাশজন যুবকের সঙ্গেই তাঁদের একটি শিবিরে রাখা হয়। বলা হয়, এরপর একটি অনুষ্ঠান হবে। তারপর যাঁরা জওয়ানের চাকরি করতে চায় করতে পারে। বাকিদের মাসে ৪০০০ টাকা দেওয়া হবে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, কয়েকমাস পরে প্রত্যেকে আড়াই লক্ষ টাকাও পেতে চলেছে। প্রতিশ্রুতির বহর সন্দেহজনক ঠেকায় যুবকরা বাড়িতে ফোন করে সব জানায়। পরিবার ও গ্রামের মাথারা তাঁদের ফেরত আসতে বলেন। কিন্তু তাঁদের শিবির থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবশেষে শিবিরে বিক্ষোভ ও গ্রামের মানুষের চাপে ওই সাত যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়। আসাম রাইফেল্স অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলে, ওরাই জঙ্গি সেজে এসেছিল।
|
গ্রেনেড ফেটে হত ৩ শিশু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
খেলতে খেলতে গ্রেনেড ফেটে মারা গেল তিন শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে তিনসুকিয়া জেলায়। প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার ছক কষে পরেশপন্থী আলফার একটি দল জেলায় ঢুকেছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তাই তিনসুকিয়া-সহ উজানি অসমে জারি করা হয় সতর্কতা। গত কয়েকদিনে তিনসুকিয়ার বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে যৌথবাহিনী এক আলফা সদস্যকে হত্যা করে, এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয়েছে ১২টি ডিটোনেটর, দু’টি গ্রেনেড, ২ কিলো আরডিএক্স। কিন্তু আরও বেশ কিছু গ্রেনেড ও বিস্ফোরক বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের খবর।
পুলিশের দাবি, এমনই কোনও গ্রেনেড বা আইইডি, ডিগবয়ের খারজান প্রাথমিক স্কুলের কাছে কোথাও রাখা ছিল। স্থানীয় কয়েকটি ছেলেমেয়ে খেলতে খেলতে গ্রেনেডটি কুড়িয়ে পায়। সে’টি নিয়ে খেলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই রিঙ্কি কুর্মি (১০) নামে একটি মেয়ের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় রূপেশ কুর্মি (৫) ও সন্ধ্যা কুর্মি (৫)। পুষ্পাঞ্জলী (৭) ও ভানুমতি (২৫) নামে দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় নেয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কী ধরণের বিস্ফোরক ছিল এবং তা কোথা থেকে বাচ্চাদের হাতে এল সে বিষয়ে এখনও পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
|
সেতুর গর্ত গলে নদীতে যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বেইলি সেতুর গর্ত গলে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন যুবক। ঘটনা অসমের কাছাড় জেলা ও মেঘালয়ের সীমাঘেঁষা মালিডহরে। পুলিশের অনুমান, কুয়াশায় দেখতে না পেয়েই গর্তে পা গলিয়ে দেন বানজব বামন নামের ২১ বছরের খাসি যুবক। তবে রাজ্যসীমা, থানা এলাকা ইত্যাদি বিতর্কে মৃতদেহ ভোর থেকে নদীতেই পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে গুমড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রভাত শইকিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ছুটে গেলেও নিহতের নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীরা মৃতদেহ উদ্ধারে বাধা দেন। তাঁদের দাবি, এলাকাটি দুই রাজ্যের জলসীমা। মৃতদেহ নদীর যে অংশে পড়েছে, সেটি মেঘালয়ের। বানজবও ওই রাজ্যের বাসিন্দা। তাই মেঘালয় পুলিশই সেটি উদ্ধার করবে। তারা মেঘালয়ের উমকিয়াং থানায় খবর পাঠান। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ আসেননি।
|
অসমের চোর বালিতে ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অসমের এক অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার হাওড়ার বালি থেকে ধৃত নকুল পাল (২৬) তেজপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, নকুল ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়িতে পিওনের কাজ করত। অভিযোগ, কয়েক ভরি ওজনের একটি সোনার হার ও নগদ ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে কলকাতায় পালিয়ে আসে ওই যুবক। ২৮ নভেম্বর অসমের লখিমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে, কলকাতা থেকে ওই যুবক বালির একটি মেসে আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। এর পরে ওই দিন রাতে বালিতে এলে নকুলকে ধরে ফেলে বালি থানার পুলিশ। তবে টাকা বা সোনার হার উদ্ধার হয়নি।
|
দু’টি দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
দুটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এক তরুণ সহ দু’জন। ওই ঘটনায় জখম হন আরও একজন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনা দুটি ঘটে ধুবুরি র বিলাসীপাড়ার থানার হাতিপোতা গ্রামের ৩১ নং জাতীয় সড়কে। মৃতদের নাম সাথিয়া বেগম (৪০) এবং আবু বক্কর (১৫)। বাড়ি ফেরার সময় ছোট গাড়ির ধাক্কায় মারা যান সাথিয়া। তাঁর বাড়ি হাতিপোতা গ্রামে। ওই ঘটনায় জখম হন এক মহিলা। অন্যদিকে ছাগলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কাছে ৩১ নং জাতীয় সড়ক পার হতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান আবু বক্কর।
|
গাড়ি উল্টে মৃত ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
দুর্ঘটনায় মারা গেলেন দুই ব্যক্তি ও এক নবজাতক। ঘটনাটি ঘটেছে চাবুয়ায়। পুলিশ জানায়, কাজিখোয়া থেকে চাবুয়ার দিকে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। বিশ মাইল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি গাছে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই রুমোদ গিরি, দীনেশ মিশ্র ও গাড়িতে থাকা এক নবজাতকের মৃত্যু হয়।
|
ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নৌকাডুবি হয়ে ব্রহ্মপুত্রে তলিয়ে গেলেন এক মৎসজীবী। পুলিশ জানায়, শোণিতপুরের বিশ্বনাথের ডিফলুমুখ এলাকায় গত রাতে একটি নৌকা ব্রহ্মপুত্রে উল্টে যায়। নৌকায় থাকা ছয় মৎসজীবীকে উদ্ধার করা গেলেও মনোরঞ্জন দাস নামে এক যুবকের সন্ধান মেলেনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
যান্ত্রিক গোলযোগ, ফিরল দু’টি বিমান |
দুটি বিমান, আকাশে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ফিরে আসতে বাধ্য হল। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাই বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এই বিমান দুটির একটি মুম্বই যাচ্ছিল। অন্যটি কুয়েত রওনা দিয়েছিল। ১০২ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ রওনা দিয়েছিল ওই মুম্বইগামী বিমান। কিন্তু আকাশে ওড়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যে বিমানটি ফের বন্দরে অবতরণ করে। ওই বিমানের যাত্রীরা জানিয়েছেন, বিমানের ভিতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড শ্বাসকষ্টের মধ্যে পড়েন তাঁরা। ফলে বিমানটি ফিরে আসতে বাধ্য হয়। আবার কুয়েতগামী বিমানটিতে ২১৬ জন যাত্রী ছিল। বুধবার সকাল ৬টা ৩০ নাগাদ আকাশে ওড়ে। এই বিমানটিও আকাশে ওড়ার ঠিক ৪৫ মিনিটের মাথায় ফিরে আসে। এই বিমানটির ক্ষেত্রে যান্ত্রিক গোলযোগের সৃষ্টি হয়েছিল বলেই জানিয়েছে বিমানবন্দর।
|
বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ওয়াইসি |
বুধবার এমআইএম নেতা আকবরউদ্দিন ওয়াইসিকে চোদ্দো দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই মামলার তদন্ত করছে নির্মল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওয়াইসির সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে তারা। ৩ জানুয়ারি ওয়াইসির বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির দু’টি ধারায় মামলা দায়ের করে। পরে আরও পাঁচটি ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পুলিশ। এ দিকে, বুধবার আদিলাবাদ ও নিজামাবাদ জেলায় বন্ধ পালন করে এমআইএম সমর্থকেরা। হায়দরাবাদের বেশ কিছু অঞ্চলের দোকানপাটও বন্ধ ছিল এ দিন। মোটামুটি শান্তিপূর্ণই ছিল বন্ধ।
|
স্কুলবাসে থাকতে হবে সিসিটিভি |
রাজধানীর প্রতিটি স্কুলবাসে থাকতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা বা ওয়েব ক্যামেরা। গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি কর্মীর ছবি দেওয়া পরিচয়পত্রও থাকতে হবে। এই সব খতিয়ে দেখে দিল্লি পুলিশ অনুমতি দিলে তবেই চালানো যাবে গাড়ি। এবং এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের জেরে শহরের নিরাপত্তা বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে একটি টাস্ক ফোর্স। তারাই এই নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি শহরের ডিস্কোথেকগুলিও রাত একটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে হেল্পলাইন নম্বর ১০০ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। সেখানে ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কর্মীদের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
দিল্লিতে ফের বাসে শ্লীলতাহানি |
চলন্ত বাসে ফের শ্লীলতাহানি রাজধানীতে। অভিযোগ বুধবার মধু বিহারের কাছে বছর পঁচিশের এক মহিলা হোমগার্ডের শ্লীলতাহানি করেছে এক বাসযাত্রী। পুলিশ জানায়, বাসের অন্যান্য যাত্রী অভিযুক্তকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। অভিযুক্তের নাম রণজিৎ। মারধরের চোটে তার পা ভেঙেছে। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিগৃহীতার দাবি, রণজিৎ তাঁকে অপহরণের হুমকিও দিয়েছিল।
|
ক্ষমা চান, দাবি |
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে মহিলাদের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য করার কারণে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ধর্মগুরু ও রাজনৈতিক নেতাদের। এই দাবিই তুলেছে উত্তরাখণ্ডের একাধিক মহিলা সংগঠন। উত্তরাখণ্ডের মহিলা মঞ্চ, মহিলা সমক্ষ এবং দিশা-র কর্মীরা গাঁধী পার্কে সমবেত হন মঙ্গলবার। তাঁরা দাবি জানান, সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত এবং ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে তাঁদের মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
|
শিশু উদ্ধার |
মাত্র দু’দিনের একটি কন্যা শিশুকে পাওয়া গিয়েছে মন্দির চত্বরে। শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে দিরগার সন্তোষী মা’য়ের মন্দিরে মঙ্গলবার ভোরে শিশুটিকে পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, শিশুটির মা-বাবার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শারীরিক অসুস্থতা থাকায় প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজ্যের শিশুকল্যাণ দফতরের হাতে দিয়েছে পুলিশ।
|
যাবজ্জীবনে ৭ |
সম্মান রক্ষার্থে খুন করার দায়ে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল এক নিম্ন আদালত। বছর সাতেক আগে আকবরপুর গ্রামের ঘটনা। প্রেমসম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই মেয়ে ও তাঁর প্রেমিককে খুন করেছিল ইব্রাহিম ও তার ছয় ছেলে। এই সাত জনকেই মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
|
সম্মান রক্ষার্থে খুনে যাবজ্জীবন |
সম্মান রক্ষার্থে খুন করার দায়ে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল এক নিম্ন আদালত। বছর সাতেক আগে আকবরপুর গ্রামের ঘটনা। প্রেমসম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই মেয়ে ও তাঁর প্রেমিককে খুন করেছিল ইব্রাহিম ও তার ছয় ছেলে। এই সাত জনকেই মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
|
বেলাইন কামরা |
সানি দেওলের ‘সিং সাহাব দি গ্রেট’ ছবির শু্যটিং চলছিল। ছবির স্বার্থেই ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ট্রেনের একটি কামরাও। কিন্তু বুধবার শুটিং চলাকালীনই লাইনচ্যুত হল সেই কামরা। হাবিবগঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার ঠিক আগের মুহূর্তেই ঘটল এমন ঘটনা। যদিও তাতে অন্যান্য ট্রেনের কোনও সমস্যা হয়নি।
|
বিয়ে করলে সাজা মকুব |
বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিধবাকে ধর্ষণ করার দায়ে জেল হয়েছিল এক ব্যক্তির। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই বিধবাকেই বিয়ে করার কথা দেওয়ায় তার সাজা মকুব করল দিল্লির একটি আদালত। উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় সিংহ। চৌঁত্রিশ বছরের বিধবাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
|
বাপুর নামে মামলা |
বিহারের এক নিম্ন আদালতে আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। দিল্লি গণধর্ষণ প্রসঙ্গে ধর্ষিতার প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য আশারাম বাপু। তারই জেরে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সুধীর কুমার ওঝা নামের এক আইনজীবী বাপুর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছেন। |
|