তৎপর বিজেপি-ও
জেএমএম-কে কংগ্রেসের শর্ত
ঝাড়খণ্ডে এখনই বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোটে যাওয়ার পক্ষপাতী নয় কংগ্রেস। দলীয় নেতারা বিধানসভা জিইয়ে রেখে সরকার গড়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে আগ্রহী। বস্তুত, রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদ এই সুপারিশই কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছেন বলে খবর। রাজভবন বা দিল্লি, কোনও সূত্র থেকেই অবশ্য সরকারি ভাবে এমন সুপারিশের কথা স্বীকার করা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে আজ বলেন, “রাজ্যপালের প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছি। কী সিদ্ধান্ত হয় দেখার জন্য কিছু দিন অপেক্ষা করুন।” বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোটে যাওয়ার পক্ষপাতী হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়ার তৎপরতাতে সামিল হয়েছে বিজেপি-ও
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা তথা শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেন এবং দলের রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জীব কুমার আজই দিল্লি গিয়েছেন। তাঁদের আসার খবর পেয়েই বিমানবন্দরে চলে যান বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ধর্মেন্দ্র প্রধান। হেমন্ত ও সঞ্জীবের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু জেএমএম আপাতত কংগ্রেসের সঙ্গে রফা করতেই আগ্রহী। দিল্লির জনপথ হোটেলে রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে দু’দফায় বৈঠক করেন হেমন্ত। দ্বিতীয় বারের বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল।
রাঁচির মোরাবাদির বাড়িতে ‘লক্ষ্য স্থির’ করছেন জেএমএম
প্রধান শিবু সোরেন। বুধবার প্রশান্ত মিত্রের তোলা ছবি।
কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, জেএমএমের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ার ইচ্ছে থাকলেও এ নিয়ে মাত্রাছাড়া আগ্রহ দেখাতে তারা রাজি নয়। কংগ্রেসের মূল আগ্রহ, আগামী লোকসভা ভোটে জোটের সম্ভাবনা। জেএমএম-কে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়া হলে ঝাড়খণ্ডে লোকসভার ১৪টি আসনের মধ্যে ৮টি চাইবে কংগ্রেস। মূলত এই দাবি সামনে রেখেই আজ কংগ্রেসের সঙ্গে কথা হয়েছে জেএমএম নেতাদের।
কিন্তু কংগ্রেসের ১৩ জন বিধায়কের সমর্থন পেলেও ১৮ বিধায়কের দল জেএমএমের পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব হবে না। কারণ, ৮২ আসনের বিধানসভায় সরকার গড়তে ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার। সে ক্ষেত্রে ৬ বিধায়কের আজসু ছাড়াও অন্তত ৫ জন নির্দলের সমর্থন দরকার হবে তাদের।
বিধানসভা জিইয়ে রেখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে চলেছে, এমন খবর রটার পরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য বিজেপি। গত কাল রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দেওয়ার সময় বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা। দলের রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী বলেন, “কেউ যদি রাষ্ট্রপতি শাসনকে সামনে রেখে বিকল্প সরকার তৈরির চেষ্টা করে, তবে তা হবে রাজ্যের সঙ্গে প্রবঞ্চনা। আমরা বিধানসভা ভেঙে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে লাগাতার আন্দোলন করব।” বিজেপি সূত্রে অবশ্য এ-ও দাবি করা হচ্ছে যে, হেমন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়তে চাইলেও শিবু সোরেনের অনুগামীরা বিজেপি-র সঙ্গে নতুন করে সরকার গড়তে রাজি। জেএমএমের আট জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার বাবুলাল মরান্ডিকে বোঝানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। মরান্ডির বিধায়ক সংখ্যা ১১। তবে তিনি এখনও ইতিবাচক কোনও সঙ্কেত দেননি।
এই অবস্থায় কত দিন চলবে রাষ্ট্রপতি শাসন? কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে, যদি জেএমএমের সঙ্গে রফা হয়ে যায় তো ভাল। না হলে এক বছর পরে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট হতে পারে। তবে হেমন্তরা যে ভাবে সরকার গড়তে মরিয়া, তাতে কংগ্রেসের শর্তেই তাঁরা রাজি হয়ে যাবেন বলে আশাবাদী দলীয় নেতারা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.