তাদের দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দলবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করল কংগ্রেস। কালনায় জোটের পুরসভায় ওই কাউন্সিলর যে দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, সেটির দায়িত্বও এখন তাদের কোনও কাউন্সিলরকে দিতে হবে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস।
২০১০-এ কংগ্রেস-তৃণমূল জোট কালনা পুরসভায় ক্ষমতায় আসে। নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দফতর বিলি হয়। উপ-প্রধানের পদ ছাড়াও কংগ্রেস পায় পুরসভার পূর্ত ও আলো বিভাগের দায়িত্ব। পূর্ত বিভাগের দায়িত্ব পান শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী। কংগ্রেসের সাংগঠনিক অদক্ষতা ও লড়াইয়ে মানসকিতা হারিয়ে ফেলার অভিযোগ তুলে মাস তিনেক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুনীলবাবু।
কালনার কংগ্রেস নেতৃত্ব এই ঘটনার কথা দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানায়। দলীয় সূত্রের খবর, ৩০ নভেম্বর জেলা কংগ্রেস কমিটির (গ্রামীণ) সভাপতি আজিজুল হক জেলা প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়ে জানান, কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হয়েও সুনীলবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং কালনা শহর কংগ্রেসের সভাপতি লক্ষ্মণ রায়কে। জেলা প্রশাসনের তরফে বর্ধমানের নির্বাচনী আধিকারিককে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ২১ ডিসেম্বর সেখান থেকে কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেট্টি ও কালনার পুরপ্রধান বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে বিষয়টি জানানো হয়। বুধবার লক্ষ্মণবাবু বলেন, “আমরা চাই সুনীলবাবুর বিরুদ্ধে দলবিরোধী আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। কালনার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরপ্রধানকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, সুনীলবাবুর জায়গায় আমাদের দলের অন্য কাউকে পূর্ত দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হোক।” পুরপ্রধান বলেন, “প্রশাসনের তরফে একটি চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” তবে পূর্ত বিভাগের দায়িত্ব চেয়ে কংগ্রেসের পাঠানো কোনও চিঠি পাননি বলে তাঁর দাবি। কালনার মহকুমাশাসক জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। |