উত্তুরে হাওয়ায় কাঁপছে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল। তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আরও বেশ কয়েক দিন চলবে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। |
মঙ্গলবারও পানাগড়ে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বুধবার তা আরও কমে নেমেছে ৩.৪ ডিগ্রিতে। বিশেষ করে কুলটি, রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে, ৫ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। মাঝে মধ্যে সকালের দিকে ঝকঝকে রোদ উঠে ঠিকই। কিন্তু রোদের তেজকে হার মানিয়ে দিচ্ছে ঠান্ডা হাওয়ার ঝলক। দুপুর ২টো বাজতে না বাজতেই নামতে শুরু করছে তাপমাত্রা। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে শিল্পাঞ্চল। সন্ধ্যা গড়াতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। |
খদ্দেরের অভাবে তাড়াতাড়ি ঝাঁপ ফেলে দিয়েছেন দোকানদাররা। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না কেউই। ফলে যানবাহনও কমে আসছে সন্ধ্যা গড়াতেই। সকালের স্কুলগুলি দেরি করে শুরু করা বা স্কুল ছুটির জন্য আবেদন করেছেন অভিভাবকেরা। তবে অনেকেই এই ঠান্ডায় মেতে উঠেছেন চড়ুইভাতিতে। ঠান্ডার পারদ নামতেই সপ্তাহান্তের ছুটির অপেক্ষা না করে স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা। |
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিরাশ্রয় লোকজন। খোলা রাস্তায় সামান্য জামাকাপড়ে প্রয়োজন মিটছে না তাঁদের। প্রশাসন এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে কম্বল ও অন্যান্য শীতবস্ত্র প্রদানের কমর্সূচি নেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। |