প্রচণ্ড ঠান্ডায় ফিরতে চান জখম ৪ যাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সুকিয়াপোখরিতে গাড়ি দুর্ঘটনায় জখম পর্যটকরা ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসা করানোর আর্জি জানালেন স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মিরিক থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে সুকিয়াপোখরিতে গাড়ি খাদে পড়ে যাওয়ায় এক পর্যটকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় চার পর্যটক-সহ ৫ জন জখম হন। তাঁদের দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জখম পর্যটকদের এক জন কলকাতার হাতিবাগানের বাসিন্দা মঞ্জু রক্ষিত বলেন, “এখানে ঠান্ডায় খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা কলাকাতায় গিয়ে চিকিৎসা করাতে চাইছি। তাই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে খুব ভাল হবে।” মঞ্জুদেবীর হাত ও পা ভেঙে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সূত্রের খবর, এ দিন দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রির থেকে কম। দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “ওই দুর্ঘটনায় জখম চার পর্যটকের মধ্যে তিন জন হাসপাতালে ভর্তি। আরেকজনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। গাড়ির চালক রয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত জেলা হাসপাতালে রয়েছে। কিন্তু ঠান্ডার কারণে তাঁরা সমতলে বা কলকাতার দিকে যেতে চাইছেন। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতার হাতিবাগানের বাসিন্দা গোবিন্দ রক্ষিত তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও দুই আত্মীয়কে নিয়ে দার্জিলিঙে যান। দার্জিলিঙকে কেন্দ্র তাঁরা নানা জায়গায় ঘুরছিলেন। রবিবার সকালে মিরিক যান তাঁরা। সেখানে সারা দিন কাটিয়ে সন্ধ্যায় তাঁরা দার্জিলিং রওনা হন। কুয়াশাচ্ছন্ন সুকিয়াপোখরি এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে ২০ ফুট খাদে গাড়িটি পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে সুকিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দার্জিলিং সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে গোবিন্দবাবুর মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী মঞ্জুদেবী, ছেলে সোনু, শাশুড়ি করুণা দে এবং আরেক আত্মীয় শৈবাল মজুমদার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গাড়ির চালক রবীন্দ্র রাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। |