নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাঠের ভাড়া নিয়ে সমস্যা। আর তার জেরেই বদলে যেতে পারে ফেডারেশনের প্রস্তাবিত দেশের প্রথম রেফারি অ্যাকাডেমির স্থান। বাংলা থেকে সরে যেতে পারে ঝাড়খণ্ড-ওড়িশায়।
রেফারি নিয়ে একাধিক বিতর্কের পর ফেডারেশনের উপলব্ধি, ভাল ফুটবলার পেতে গেলে প্রয়োজন দক্ষ রেফারির। অথচ এই মুহূর্তে ফেডারেশনের হাতে ফিফা রেফারির সংখ্যা মোটে চার। দক্ষ রেফারির সংখ্যা বাড়াতে তাই এই রেফারি অ্যাকাডেমির পরিকল্পনা। যার অনুমোদন মিলেছে গত জুনেই। সিদ্ধান্ত হয় প্রাথমিক ভাবে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং বাংলায় শুরু হবে রেফারি তৈরির এই পাঠশালা। যার প্রথমটি হবে বাংলায়। প্রকল্পের যাবতীয় খরচ ফেডারেশন বহন করলেও মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সংস্থাকে। আর গোল বেধেছে এখানেই। অন্য দুই রাজ্য যখন মাঠের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে ফেলেছে তখন মাঠ নিয়েই গোলকধাঁধা আইএফএ-তে।
খড়গপুরেই পূর্বাঞ্চলের এই অ্যাকাডেমি চালু হওয়ার কথা ছিল। কারণ, যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড থেকে রেফারিরা আসতে পারবেন। আগ্রহ দেখিয়েছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (সেরসা)-এর কর্তারাও। কিন্তু সেই মাঠের ভাড়া নিয়ে রেল-আইএফএ দ্বৈরথে থমকে গিয়েছে অ্যাকাডেমির সূচনা। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় যদিও বলছেন, “খড়গপুরে মাঠের ভাড়া নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। তা কাটাতে দ্রুত আলোচনায় বসছি। আশা করছি, সব ঠিক হয়ে যাবে।”
ফেডারেশনের রেফারি কমিটির প্রধান কর্নেল গৌতম কর যা শুনে আবার বলছেন, “ডিসেম্বরেই খড়গপুরে এই অ্যাকাডেমি চালু হওয়ার কথা ছিল। অথচ এখনও মাঠ নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা রোজ আবেদন করছেন অ্যাকাডেমি তাঁদের রাজ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে।” |